ঢাবি প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলন
দাবি না মেনে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিক্ষোভ মিছিল
৪০ তম বিসিএসে কোটা সংস্কারের দাবি না মেনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় এর প্রতিবাদ এবং আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবির আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে তারা এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর, মুহম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ কয়েকশো আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে নুরুল হক নূর বলেন, কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক সত্ত্বেও আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা কখনো কোটা বাতিলের দাবি জানাইনি। আমরা সবসময় সংস্কারের কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংসদে কোটা বাতিলের কথা বলেছেন। তিনি যদি চান তাহলে বাতিল করতে পারেন। নইলে আমাদের ৫ দফার আলোকে সংস্কার করতে হবে।
মুহম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে আজ থেকে ছয় মাস আগে আমাদের কোটা সংস্কারের যে দাবি সেটা মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ দীর্ঘ ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা চাই অতি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হোক যাতে ছাত্র সমাজের দাবি মেনে নেয়া হয়।
দাবি মেনে না নিলে লাগাতার আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। তারপরও ছাত্রসমাজ কিন্তু তাদের যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র সরে যায়নি। যতদিন না পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেয়া হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ছাত্রসমাজ দেখিয়ে দিবে কিভাবে রাজপথে দাবি আদায় করতে হয়।
এসময় ফারুক হাসান আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি পড়ে শোনান। দাবিগুলো হলো- ১. ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, ২. হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ৩. পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।
পিডিএসও/এআই