ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করলো সিন্ডিকেট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠায় প্রভাষক পদে এক প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী বোর্ড সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান প্রতিদিনের সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীর এস এম ফাইজুল হক ইশানের থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন বলে তাকে বিভাগ কর্তৃক ইচ্ছাকৃত শিক্ষক বানানোর প্রচেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন বাকি নিয়োগপ্রার্থীরা।
সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভা বসে। রাত ৯টায় এ সভা শেষ হয়। সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান অভিযোগ ওঠা ইশানের এ নিয়োগ বাদ দেন। তবে বাকি দুজনকে প্রভাষক পদে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছে সিন্ডিকেট।
নিয়োগপ্রাপ্ত দুজন হলেন, ইসরাত জাহান ইয়ামুন ও ওয়াসিফা তাসনীম শাম্মা। তাদের মধ্যে ইয়ামুনের অনার্স ও মাস্টার্সের সিজিপিএ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭৪ ও ৩ দশমিক ৮৮, ওয়াসফিয়া শাম্মার সিজিপিএ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৭২ ও ৩ দশমিক ৮৩। তারা দুজনই অনার্স ও মাস্টার্সে মেধাক্রমে প্রথম।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সিন্ডিকেট সভার শুরুতেই সমাজবিজ্ঞানের যে সিলেকশন নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো, তা তোলা হয়। অনেকের চেয়ে ফলাফলে পিছিয়ে থাকা প্রার্থীর বিষয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার (ইশান) নিয়োগ বাদ দেন। তবে বাকি দুজনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে তার অফিস কক্ষে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনজন প্রভাষক (স্থায়ী) নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তুলনামূলক বেশি মেধাবী, অনার্স এবং মাস্টার্স উভয় ক্ষেত্রে প্রথম, বিভাগের সর্বোচ্চ ফলধারী, এমনকি বিদেশি ডিগ্রিধারী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকা ইশানকে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে অন্য নিয়োগপ্রার্থীরা। তার ভিত্তিতে সিন্ডিকেট আজ (মঙ্গলবার) এ সিদ্ধান্ত নেয়।
পিডিএসও/এআই