জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৭ তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সরকার নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে চাহিদার অনুপাতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার শৈশবকালীন সময়ে মানুষের পায়ে কোন জুতা ছিল না, গায়ে কোন কাপড় ছিল না। ওই যে রিকশাওয়ালাদের দেখো তাদের গায়ে কোন কাপড় ছিল না। বাঙ্গালী মুসলমানের মধ্যে মধ্যবিত্ত বলে কোন শ্রেণি ছিল না, ছিল নিম্ন মধ্যবিত্ত। যাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল তাদের আর্থিক টানাপোড়ন বেশি ছিল।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ১২শ কোটিরও অধিক ব্যয়সংবলিত ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্প’ শীর্ষক নতুন একটি প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্প সরকারের প্রি-একনেক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়েছে।
এই প্রকল্পটি সরকারের কাছ থেকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হলে ১০তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, ১০০০ জন ছাত্র ও ১০০০ জন ছাত্রীর আবাসন সুবিধাসহ ৩টি করে মোট ৬টি ১০তলা বিশিষ্ট হল নির্মাণ, হলের হাউস টিউটরদের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি বাসভবন নির্মাণ, শহীদ রফিক জব্বার হলের উত্তর ব্লকের ৪র্থ ও ৫ম তলা সমাপ্তকরণ, ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি প্রভোস্ট কমপ্লেক্স নির্মাণ, শিক্ষক ও অফিসারদের জন্য ১টি করে আলাদাভাবে ১১ তলা বিশিষ্ট আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ, তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ শ্রেণি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মচারিদের জন্য ১টি করে ১১ তলা বিশিষ্ট আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ, ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি গেস্ট হাউজ কাম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট রিসার্চার হাউজ, জীববিজ্ঞান অনুষদ ভবন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন, কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবন এবং গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এর প্রত্যেকটির আনুভূমিক সম্প্রসারণ (৬ তলা বিশিষ্ট ১টি নতুন অংশ), ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি লেকচার থিয়েটার, পরীক্ষা হল নির্মাণ এবং ৩ তলা বিশিষ্ট ১টি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিক্ষা ও আবাসন ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে এবং সমস্যার লাঘব হবে।
অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য উপস্থাপন করলে স্ব স্ব অনুষদের ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বরণ করেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও নবীন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি জেবউননেছা।
পিডিএসও/তাজ