চবি প্রতিনিধি

  ২৬ জুলাই, ২০১৮

পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে চবিসাসের মানববন্ধন

রেললাইন সংস্কার, শাটল ট্রেনে বগি বৃদ্ধিসহ পরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন চত্বরে পাঁচ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

দাবিগুলো হল- ১.বিশ্ববিদ্যালয় রূটের রেললাইন সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি করা।২.শাটল ট্রেন থেকে মালবাহী বগি প্রত্যাহার করে যাত্রীবাহী বগি সংযোজন করতে হবে। ৩.বিশ্ববিদ্যালয় রূটে চলাচলকারী বাস সার্ভিস তরীর চলমান নৈরাজ্য বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৪.অভ্যন্তরীণ বাস সার্ভিস চালু ও বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে চাহিদা অনুযায়ী বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫.বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া আদায়ের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত তদারকি করতে হবে। বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলের অনুমোদন বাতিল করতে হবে। আর দুর্ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় গতিরোধক স্থাপন করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে। তাই বগি সংকট থাকা সত্ত্বেও মালবাহী বগি রাখা হয়। এই মালবাহী বগির কোন প্রয়োজনীয়তা আমরা খুঁজে পাই না। আমরা জানি, হুট করে শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি করা বাস্তবসম্মত নয়। এর জন্য প্রয়োজন রেললাইন সংস্কার। শিক্ষার্থীরা ভাড়া দিয়ে শাটল ট্রেনে চলাচল করেন। শিক্ষার্থীদের সাধারণ যাত্রী হিসেবে বিবেচনা করে রেললাইন সংস্কার করা হোক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় রূটে চলাচলকারী বাস সার্ভিস তরী শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যের আগেই নামিয়ে দেয় শিক্ষার্থীদের। এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, 'বর্তমানে একটি বাস শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রশাসন যদি আরো কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা করে তবে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরো আন্তরিক হলে শিক্ষার্থীরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।'

সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি। শিক্ষার্থী হিসেবে আমরাও এই দুর্ভোগের শিকার। সাংবাদিক সমিতির কর্মসূচি গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি গতিরোধক দরকার। মাননীয় উপাচার্য বলেছেন, শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে গতিরোধক স্থাপন করা হবে। রেলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির অর্থ, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জয় দাশ, প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ রাকীব ও সদস্য জাহিদ হাসান সবুজ। এছাড়াও কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মনছুর আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,দাবি,পরিবহন,চবিসাস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist