জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে ৫০০ লিটার ‘ভেজাল’ মবিল জব্দ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবহন অফিসে ‘মেসার্স সিকদার অয়েল সাপ্লায়ার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ৫০০ লিটার ‘ভেজাল’ মবিল জব্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার পরিবহন অফিসের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক খো. লুৎফুল ইলাহীর নেতৃত্বে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব মবিল জব্দ করেন। বৃহস্পতিবার খন্দকার লুৎফুল ইলাহী সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানান।
পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ‘মেসার্স সিকদার অয়েল সাপ্লায়ার্স’ নামের প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্য মবিল সরবারহের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ বছরের ৭ই মার্চ প্রথম কিস্তির মবিল সরবরাহ করে। গত ১২ জুলাই পরিবহন অফিস থেকে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৫০০ লিটার মবিল চাওয়া হয়। এর সর্বমোট আর্থিক মূল্য ১৮১৮২০ টাকা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার প্রতিষ্ঠানটি মবিল পাঠালে তাদের মবিলের মান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তখন পরিবহন অফিসের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের নেতৃত্বে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা একই কোম্পানির অন্য মবিলের সাথে মিলিয়ে যাচাই করে এটাকে ভেজাল মবিল হিসেবে চিহ্নিত করেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করে পরিবহন অফিসে আসতে বললেও তারা আসেনি।
পরিবহন অফিসের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক খো. লুৎফুল ইলাহী বলেন, আমি পরিবহন অফিসের দায়িত্বে আসার পর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিয়ে সব ধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা এই ৫০০ লিটার ভেজাল মবিল জব্দ করেছি।
এ বিষয়ে মেসার্স সিকদার অয়েল সাপ্লায়ার্সে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা (নিজেকে জামাল পরিচয়ে) বলেন, আমাদের কাছে পরিবহন অফিস থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা ভালো মবিল পাঠিয়েছি, তবে আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলতে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে স্থানীয়রা আমার ড্রাইভারকে মারধর করে মবিল চেঞ্জ করে দিয়েছে।
পিডিএসও/তাজ