রিয়াজ মুন্না, চবি প্রতিনিধি
চবিতে ছাত্রীদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের বাধা, সাংবাদিক লাঞ্চিত
কোটাব্যবস্থা সংস্কারে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি, দেশব্যাপী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল ও মানববন্ধনে দফায় দফায় বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ । এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয় ছাত্রলীগ।
রোববার সকাল সাড়ে এগারোটায় প্রীতিলতা হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা।
তাদের সাথে সাধারণ ছাত্ররা সংযুক্ত হতে চাইলে প্রশাসন ও ছাত্রলীগের বাধায় ছাত্ররা সরে যায়। এমতাবস্থায় ছাত্রীরা শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করতে চাইলে দফায় দফায় ছাত্রলীগ হামলা করতে উদ্যত হয়। পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়া হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রলীগ তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া, মৌখিকভাবে হুমকি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছে। এ সময় ফজলে রাব্বি নামে এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয় ও বহিরাগত সন্দেহে আশরাফ নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
আন্দোলনকারী তিনজন ছাত্রীর সাথে ছাত্রলীগের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির সংবাদ সংগ্রহকালে জাগোনিউজ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ রাকিব লাঞ্চনার শিকার হন। এ সময় ছবি তুলতে গেলে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে মোবাইল আনতে গেলে তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন ছাত্রলীগের চবি শাখার সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অবহিত করে প্রক্টর বরাবর বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(চবিসাস)। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিপুলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব নেই। বহিরাগত হিসেবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে।
পিডিএসও/রিহাব