রিয়াজ মুন্না, চবি
নানা সমস্যায় জর্জরিত চবির সংস্কৃত বিভাগ
অপর্যাপ্ত ক্লাসরুম, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংকটসহ নানাবিধ সমস্যা নিয়েই চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাঁচ বছরেও নিয়োগ দেয়া হয়নি সেমিনার লাইব্রেরিয়ান। শিক্ষক স্বল্পতার পাশাপাশি নেই সেকশন অফিসার ও অফিস পিয়ন। মাত্র একজন উচ্চমান সহকারি ও পিয়ন দিয়েই চলছে বিভাগের সকল কার্যক্রম।
অন্যদিকে অফিস রুম ও সেমিনার লাইব্রেরির অবস্থাও নাজুক। দেয়ালের প্লাস্টার উঠে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য বইসহ আসবাবপত্র। বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এসব কাগজপত্র, ইলেক্ট্রিক জিনিসপত্রসহ সবকিছু রাখা হচ্ছে সভাপতির কক্ষে। আর এই কক্ষের দরজা, জানালাও অত্যন্ত নড়বড়ে। যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে চুরিসহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সেমিনার লাইব্রেরিয়ান না থাকায় ইচ্ছানুযায়ী বই নিয়ে পড়তে পারছেন না তারা। নির্ধারিত ক্লাস রুম না থাকায় এক ইয়ারের ক্লাস শেষ হওয়া পর্যন্ত আরেক ইয়ারকে অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে আবার শিক্ষকদের রুমেই ক্লাস করতে হয়। ফলে তাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা লিজা বলেন, আমাদের শুধুমাত্র ক্লাস রুম সংকটই নয়, এক ইয়ারের ক্লাস শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো এ পরিমাণ দাঁড়ানোর জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। বাহিরে সবাইকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, সেমিনার লাইব্রেরিয়ান না থাকায় আমরা চাহিদানুযায়ী অ্যাকাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ বই নিয়ে পড়তে পারছি না। এতে করে আমাদের নোট সংগ্রহে বিঘ্ন ঘটছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি ড. সুপ্তিকণা মজুমদার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমাদের বিভাগে সমস্যার অন্ত নেই। সভাপতি হিসেবে দায়িত্বের বাইরেও অনেক চাপ নিতে হচ্ছে। প্রশাসনকে সমস্যার কথা লিখে বারবারই চিঠি দিয়ে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত কোনও সাড়া পাচ্ছি না । সর্বশেষ একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলেও এতে করে সমস্যার প্রকৃত সমাধান হবে না ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে. এম. নুর আহমদ বলেন, বিভাগীয় সভাপতি তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন । আমরা তদনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালে ড. আবদুল গফুরকে সভাপতি করে প্রাচ্য ভাষা নামে একটি বিভাগ চালু হলে পালি বিভাগ তার অধিবিভাগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি বিভাগটি হতে পালি ও সংস্কৃত বিভাগ নামে পৃথক দুটি বিভাগের সূচনা হয়।
পিডিএসও/রিহাব