রাবি প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে রাবির ১৪ শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের ১২৩ নম্বর কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে হামলাকা-ে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এসে তাদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ওই ১৪ শিক্ষক হলেন-গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, শাতিল সিরাজ, মাহবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, প্রভাষক আব্দুল্লাহীল বাকী, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক শুসমিন আফসানা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা ও বাংলা বিভাগের ড. সৌভিক রেজা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, গত মার্চ মাস থেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। তাদের এই জনসমর্থিত আন্দোলন শুরু থেকে অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা মনে করি, নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবি-দাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সংগ্রাম করতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
লিখিত বক্তব্যে সংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই আন্দোলন শুরুর পর থেকেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে পুলিশি হেনস্তা ও হুমিক-ধামকির শিকার হতে হয়েছে। পুলিশ ও ছাত্রলীগের আগ্রাসী আচরণ এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে, আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মামলা-হামলার ভয়ে তাদরে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার যেন হারিয়ে ফেলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। বরং নীরবতা দেখতে পেয়েছি। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার, মামলা ও রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছে।’
পরিশেষে, ‘হামলায় যারা যুক্ত ছিল তাদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হোক। সেইসঙ্গে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকৎসার ব্যবস্থা এবং যেসব শিক্ষার্থী গ্রেফতর হয়েছে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।’
পিডিএসও/রানা