ফের আন্দোলনের হুমকি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের
প্রধানমন্ত্রীর সমাপনী বাজেট বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সুস্পষ্ট ঘোষণা না থাকলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম। একইসঙ্গে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো ২০১৮-এর বৈষম্যমূলক বিধান সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সভাপতি সাইদুল হাসান সেলিম এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমাপনী বাজেট বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন এবং ইতোপূর্বে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। ফোরামের সভাপতি বলেন, আগামী ১৩ জুলাই সব শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে এবং জোট গঠনের জন্য গোলটেবিল বৈঠক হবে।
আন্দোলন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২৩ থেকে ২৬ জুলাই প্রতিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জোটের শরীকদের নিয়ে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হলে সব অন্যায়, বঞ্চনা, অব্যবস্থাপনার অবসান হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা গত ১০ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। সরকার গত ১২ জুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ জারি করেছে জানিয়ে সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, এই কঠোর নীতিমালায় অনুযায়ী সাড়ে ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০ প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।
পিডিএসও/হেলাল