নিরাপত্তা চাইলেন কোটা আন্দোলনের নেতারা
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা এবার সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন। আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এই নিরাপত্তা চান।
বুধবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে আন্দোলনকারীরা এই দাবি জানান। এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, ফারুক হোসেনসহ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
কোটা আন্দোলনের নেতারা জানান, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের তিন নেতা এই আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরুর আবাসিক হল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১১৯ নাম্বার কক্ষে উপস্থিত হন এবং তাকে ও আন্দোলনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এই সময় তাদের কাছে অস্ত্র ছিল এমন অভিযোগও করেন বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও তিনজন যুগ্ম আহ্বায়ক।
তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী, মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম লিমন এবং ছাত্রলীগ নেতা আরিফসহ ১৫-২০ জন এসে এই হুমকি দেন।
এদিকে বুধবার বিক্ষোভ মিছিলের পর তারা সাধারণ ডায়েরি করতে শাহাবাগ থানায় গেলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আবুল হাসান তাদের ডায়েরি নেননি। তবে ওসি এই বিষয়ে জানার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকতাদের সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানান।
এর আগে বেলা ১২টায় ছাত্রলীগ নেতাদের হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই যুগ্ম আহ্বায়ককে হত্যার হুমকিদাতা ছাত্রলীগ নেতাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
পিডিএসও/তাজ