আজও পাওয়া যায়নি প্রশ্নফাঁসের খবর
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার তৃতীয় দিন ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আগের দুইটি পরীক্ষার মতো এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলে।
এর আগে, গত কয়েকদিন থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর রাখা হয়। আগের পরীক্ষাগুলোর মতোই একটি অসাধুচক্রকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দিতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র লেনদেনে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে খোলা হয় ক্লোজ চ্যাট গ্রুপ। বুধবার রাত থেকেই এসব গ্রুপে ইংরেজি প্রথমপত্রের প্রশ্ন দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছিল চক্রটি। ইংরেজি প্রশ্ন ফাঁস করবেই— এমন হুমকিও দেওয়া হয় এসব গ্রুপে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরুর আগে কিছু প্রশ্ন ওইসব গ্রুপে ছড়িয়েও পড়ে। তবে সেখানে পাওয়া প্রশ্নের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবগুলো পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও অভিযোগ পাইনি।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ বছর সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এর আগে, এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ব্যাপক হারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় আশঙ্কা ছিল, এইচএসসি পরীক্ষাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয়ও হয়। তবে পরীক্ষার আগেই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দুই দিনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও অভিযোগও পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয় মনে করছে, তাদের গৃহীত তিনটি কৌশলের কারণেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আটকানো গেছে। কৌশল তিনটি হলো- প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো এবং প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ।
পিডিএসও/রিহাব