শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

  ২১ মার্চ, ২০১৮

শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্র) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া নিজেদের নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বহিস্কৃতরা। অন্যদিকে এ ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বিবাদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারিকুল ইসলামের পক্ষে শাহপরান হলের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে ভেতরে সশ্রস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারীরা।

অন্যদিকে বহিস্কৃত নেতা আবু সাঈদ আকন্দ ও সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারী নেতাকর্মীরা হলের বাইরে অবস্থান করছেন।বুধবার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জালালাবাদ থানায় এ মামলা (মামলা নং-১৭) দায়ের করেন। জালালবাদ থানরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলায় আসামীরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাইদ আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক দোলন আহমদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম অন্তু, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র বর্মন, সদস্য মুনকির কাজী, কাজী তৌফিকুর রহমান তন্ময়, মুস্তাাফিজুর রহমান খান এবং বাসির মিয়া। তাদের মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজুর রহমান খান ছাড়া বাকি সবাইকে ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বহিস্কার করেছে।

এছাড়া বুধবার বিকেল ৫ টায় শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে নিজেদের নির্দোষ দাবি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বহিস্কৃতরা। এসময় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম লিখিত বক্তব্যে বলেন, গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বারজন নেতাকর্মীকে বহিস্কার করেছে। অথচ অমরা কেউই ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমরা আশা করি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অতি দ্রুত সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার এবং নির্দোষদের দায় মুক্তি দেবে।’

তারা আরও অভিযোগ করেন, আমাদের বিষয়ে কেন্দ্রকে ভুল বার্তা দেয়া হয়েছে। এই ইউনিট যারা পরিচালনা করছেন তারা অযোগ্য। সভাপতি ফাওখোড় ও নানা অপকর্মের হোতা, আর সাধারণ সম্পাদক অছাত্র। এছাড়া তারেক অছাত্র, মাদক ব্যবসায়ী ও ছাত্রদলের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযোগ তাদের।

মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সাতকরা রেস্টুরেন্টে শাখা ছাত্রলীগের সাইদ-সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে ও সহ-সভাপতি তারিকুল ইমলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এসএম আব্দুল্লাহ রনি নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ক্যাম্পাসে উত্তেজনা,ছাত্রলীগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist