শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সম্ভাব্য এ পরিবর্তনে কাজ হবে। আগামী বছর আরো বড় পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানান।

শুক্রবার বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনে (এফডিসি) সুবিধাবঞ্চিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নবম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক, এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি যৌথভাবে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে ৫২টি মামলা হয়েছে এবং তাতে ১৫৩ জনকে গ্রেফতার করার কথাও জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৫২টি মামলা হয়েছে, ১৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে।’ এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চাই। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন। যারা বাধার সৃষ্টি করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করেন।’

ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম এবং এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান বক্তব্য দেন।

পিডিএসও/তাজ