তহিদুল ইসলাম, জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে ছাত্র বহিষ্কারের সুপারিশে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দুই শিক্ষিকার দেওয়া ‘লাঞ্ছনা’র অভিযোগের ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটি কর্তৃক এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও অপর শিক্ষার্থীর ফলালাফল আটকে রাখার সুপারিশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে প্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩তম আবর্তনের আরমানুল ইসলাম খানকে সাময়িক বহিস্কারের সুপারিশ এবং ৪০তম আবর্তনের নুরুদ্দিন মাহমুদ সানাউলের সনদ আটকে রাখার সুপারিশ করা হয়। এতে বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে দেখা করে ডিসিপ্লিনারি বোর্ড কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি দেন আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে ৩৬১ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।
অপরদিকে ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশে মানববন্ধন শেষে মৌন মিছিল করেন তারা। মিছিলটি অমর একুশে পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে এ ঘটনার সাময়িক বহিস্কারের সুপারিশ প্রত্যাহার করে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
শারমিন আক্তার সুপ্তার মন্তব্য ‘জীবনে এত দ্রুত তদন্ত ও রায় কিছুই দেখিনি, সবই প্রশাসনের কৃপায়। হায়রে বিবেক।’ সায়মা তাসনিম হিরা নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, ‘সামনে শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে গাড়ি ভাঙ্গার উৎসব করবো, প্লিজ আমাকেও বহিস্কার করুন। ভেঙ্গে ফেল, আমি হলেও ভাঙতাম।’
মেহের আফরোজ ইতি মন্তব্য করেছেন, ‘শিক্ষক না হয়ে বহিরাগত কারো সাথে এই ঘটনা হলে কি করতো ডিসিপ্লিন বোর্ড?’
আলম শেখের মন্তব্য, ‘ধিক্কার জানাই এমন সোনার মত দামি প্রশাসনকে।’
এর আগে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার রাস্তার পাশে ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খানের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনায় ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন দাবি করে দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন নাহরিন ইসলাম খান ও ঘটনার সময় উপস্থিত সহযোগী অধ্যাপক উম্মে সায়কা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, শারীরিক লাঞ্ছনা ও হুমকির অভিযোগ তুলে পাল্টা অভিযোগ দেন আইন ও বিচার বিভাগের ছাত্র আরমানুল ইসলাম।
পিডিএসও/রিহাব