অঘোষিত ফাইনালে জিতবে কে?
সৌহার্দের সিরিজেও টান টান উত্তেজনা। প্রথম ম্যাচ পাকিস্তান জিতল তো পরের ম্যাচে বাজিমাত বিশ্ব একাদশের। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ তাই পরিণত ফাইনালে। লাহোরে বহুল আলোচিত ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপ শেষ পর্যন্ত কে জিতবে, ফয়সালা হবে শুক্রবার রাতেই।
যত না মাঠের খেলার তারচেয়ে বেশি মাঠের বাইরে ইস্যুর জন্য আলোচিত এই সিরিজ। আরও ভালো করে বললে মাঠের বাইরের নিরাপত্তা ইস্যু সুরাহা করতেই পাকিস্তানে বিশ্ব একাদশকে নিমন্ত্রণ করা। তাতে সাড়া মিলেছে বেশ। ২০০৯ সালের পর বিশ্বের নামীদামী তারকাদের পা পড়েছে পাকিস্তান। হচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই।
১২ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচে বিশ্ব একাদশকে ২০ রানে হারায় পাকিস্তান। পরদিনই পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় বিশ্ব একাদশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাত ৮টায় চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে রোমাঞ্চ আছে বেশ। কে জিতবে? হিসেব নিকেশ বলছে পাল্লা দুদলেরই সমান। বাংলাদেশি দর্শকরা অবশ্য তাকিয়ে থাকবেন তামিম ইকবালের ব্যাটের দিকে। প্রথম ম্যাচে ধীরস্থির শুরুর পর ১৮ রান করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু ২৩ রানেই থামতে হয় তাকে। শেষ ম্যাচে কি তামিম আরেকটু মুন্সিয়ানা দেখাতে পারবেন?
বিশ্ব একাদশের টপ অর্ডারে তামিম রান পাননি। অস্ট্রেলিয়ান টিম পাইন দুই ম্যাচেই ব্যর্থ। বড় কিছু করতে পারেননি ফাফ দু প্লেসি। দলকে একাই টেনেছেন ওপেনিংয়ে নামা হাশিম আমলা ও লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা থিসিরা পেরেরা।
ওদিকে বাবর আজম, শোয়েব মালিকরা আছেন ফর্মের তুঙ্গে। নিজেদের মাঠে পিচেও তাল বুঝে বল করতেও তৈরি পাকিস্তানিরা। প্রথম ম্যাচে মার খেলেও পরের ম্যাচেই পেসের ঝাঁজ দেখিয়েছেন মরনে মরকেল। সম্যুয়েল বদ্রি আর ইমরান তাহিরের স্পিন যদি জমে যায় বোলিং আক্রমণ বেশ ধারালো বিশ্ব একাদশেরও।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মরনে মরকেল ও হাসান আলি দুজনেই বলেছেন, জিততে মরিয়া দুদলই তাই ফাইনাল হতে যাচ্ছে রোমাঞ্চকর। কতটা রোমাঞ্চকর হয় তা দেখতে অবশ্য চোখ রাখতে হবে টিভি পর্দায়।
পিডিএসও/রিহাব