reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ঘণীভূত হচ্ছে মেঘ...

রোহিঙ্গা শিশু

এ কেমন দু:সহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ তথা মানবতার পক্ষে বিশ্বের সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকলেও অসাধারণরা করছে বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ। এ অসাধারণের মধ্যে বিশেষ ভূমিকায় নেমেছে দুটি রাষ্ট্র। যাদেরকে আমরা এতদিন বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে জেনে এসেছি, তারা আজ অনেকটা শত্রুর ভূমিকায়। অমানবিক আচরণের পক্ষে ঝাণ্ডা উড়িয়ে গণহত্যার পক্ষে কথা বলছে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীন এবং বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। নীতিগতভাবে এরা যে দর্শনের অনুসারী সেই দর্শন কখনোই কোনো গণহত্যাকে সমর্থন দিতে পারে না।

সম্ভবত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলে যাচ্ছে। শেকড়সমেত বদলে যাচ্ছে কমিউনিস্ট ও উদার গণতন্ত্রের রাজনৈতিক দর্শন। তাদের রাজনৈতিক দর্শনে গণহত্যাকে আজ বৈধ করা হয়েছে। আর সেই তত্ত্বের অনুসারী হয়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে সমর্থণ দিচ্ছে চীন। রোহিঙ্গা সমস্যায় জাতিসংঘের মনোভাবে সন্তুষ্ট হতে পারছে না ভারত। আজ চীন ও ভারতের অমানবিক অবস্থান রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘের ক্ষমতার কথা সকলেরই জানা। তবু রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সংস্থাটি শুরু থেকেই বেশ তৎপর। ইতোমধ্যেই সংস্থার মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান বলেছেন, জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বলতে যা বোঝায়, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমণে তাই ঘটেছে। একইসঙ্গে সংস্থাটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও ত্রাণসহায়তার ব্যবস্থা করতে দাতা দেশগুলোর কাছে ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার (৬৩০ কোটি টাকা) চেয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ আহ্বান কার্যত কতটুকু সমাধান এনে দিতে পারে, তা কারো অজানা নয়।

পাঁচ অসাধারণ রাষ্ট্রের একটিই পানি ঘোলা করার জন্য যথেষ্ট। একটি ভেটোই সব উদ্যোগকে নিমিষে উড়িয়ে দিতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা যেকোনো প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগের জন্য ইতোমধ্যেই তৈরি হয়ে আছে। আগাম তা জানিয়েও রেখেছে চীন ও ভারত। সুতরাং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে এক জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই এগোতে হবে এবং তা খুব সতর্কতার সঙ্গে।

আমরা মনে করি, সমস্যার সমাধানে সরকারকে ধীরে চলা নীতিকে অনুসরণ করতে হবে। কূটনৈতিক তৎপরতাকে জোরদার করতে হবে। এবং আগামীর কথা স্মরণ করে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার কাজে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। কেননা, ঈশান কোণে টুকরো মেঘ উঁকি দিচ্ছে, যেকোনো সময়ে তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে। আর সেই ভয়ংকরকে রুখে দেওয়ার একমাত্র শক্তিই হচ্ছে দেশপ্রেম এবং দেশপ্রেম।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রোহিঙ্গা,দেশপ্রেম,মানবতা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist