reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ জুলাই, ২০২০

আশাজাগানিয়া ভ্যাকসিন আসবে কবে?

বহুল প্রতীক্ষিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল আশা জাগাচ্ছে। মাত্র ১৪ দিনে রক্তে শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি এবং ২৮ দিনে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ মিলেছে। এদিকে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ২৮ দিনে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে চীনা কোম্পানি ক্যানসিনো বায়োলজিকসের ভ্যাকসিনেও। তবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেলেও চলতি বছর বাংলাদেশে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এই ভ্যাকসিন তৈরির গবেষক দলের প্রধান গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ বছরের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হতে পারে। তবে এ বছরই যে এটি ব্যবহার করা যাবে, তা নিশ্চিত নয়।

গবেষক দলের প্রধান সারাহ গিলবাট বলেছেন, ভ্যাকসিনটি ব্যবহার উপযোগী করার জন্য এখনো তিনটি বিষয় খুব জরুরি। একটি হলো শেষের ধাপের ট্রায়াল, দ্বিতীয়টি হলো উৎপাদনের জন্য প্রচুর সংখ্যা দরকার। তৃতীয়টি হলো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দ্রুত লাইসেন্স করতে হবে জরুরি ব্যবহারের জন্য। ভ্যাকসিনটির শেষের ধাপের পরীক্ষা ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও ট্রায়াল চালানোর আলোচনা চলছে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন পর্যন্ত অনুমোদিত ভ্যাকসিন নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পথে রয়েছে।

গবেষকরা বলেছেন, মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়ায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণা করার জন্য আরো পরীক্ষার প্রয়োজন।

প্রাথমিকভাবে ইনজেকশনের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৭ জনের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, এ টিকা অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, যা করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে এবং তা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।

ভ্যাকসিনের ইতিহাসে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে এটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। শিম্পাঞ্জির সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য দায়ী একটি ভাইরাসকে জিনগতভাবে পরিবর্তন করে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে কোনো সংক্রমণ ঘটাবে না এবং ভাইরাসটির জিনগত পরিবর্তন সাধন করে নভেল করোনাভাইরাসের কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের একটি নতুন ভাইরাসে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি মূলত করোনাভাইরাসের মতোই একটি জীবাণু; কিন্তু সংক্রমণে সক্ষম নয়। ফলে এটি করোনার মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিরোধ গড়তে হবে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সে বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলতে সহায়তা করবে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভ্যাকসিন,করোনা পরীক্ষা,কোভিড-১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close