ডা. মহসীন কবির লিমন

  ০৫ জুলাই, ২০২০

অবৈধ সম্পদ গড়াও মানসিক রোগ

বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন পড়ে অর্থবিত্তের। তাই তো সারা দিন সবাই বিভিন্ন কাজে কর্মব্যস্ত দিন কাটান। বেশির ভাগ মানুষই কোনো না কোনো পেশার মাধ্যমে টাকা কামালেও অনেকের কাছে অর্থবিত্ত ঠিক নেশার মতো। যাদের কাছে অর্থবিত্ত নেশার মতো, তারা বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে নানা অবৈধ উপায়ে প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে টাকার পেছনে ছুটছেন। আর তাদের সম্পত্তির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে অবৈধ সম্পত্তির হলফনামা।

যারা অবৈধ উপায়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক জানিয়েছেন, তারা সাধারণ মানুষের তুলনায় তাড়াতাড়ি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। গবেষণায় তারা দেখিয়েছেন, কারো জীবনে সব বিষয়ে যত তাড়াতাড়ি পূর্ণতা চলে আসবে, তত তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করবেন তিনি। অন্যদিকে যারা অবৈধ উপায়ে অর্থবিত্তের মালিক বনে যান, তারা নানা ধরনের মানসিক অশান্তিতে থাকেন। তাদের মনে ও মস্তিষ্কে সাধারণদের তুলনায় মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। অনেক সময় তারা তাদের অজান্তেই বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। আর এর প্রভাব দেহের অন্যান্য অঙ্গের ওপরও পড়ে। দেহে বাসা বাঁধে অসুখ-বিসুখ। আর পরিণতিতে হতে পারে হঠাৎ মৃত্যু।

তাই বলা যায়, অবৈধ উপায়ে যারা অর্থবিত্তের মালিক হচ্ছেন, তারা সাধারণদের তুলনায় বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন। আপাতদৃষ্টিতে তাদের দেখে সুখী মনে হলেও আসলে মানসিকভাবে তারা কোনোদিনই সুখী হতে পারেন না।

এত দিন ধারণা করা হতো, অর্থবিত্তের মালিক হলে আর কোনো অভাব থাকে না। আর অভাব থাকে না বলেই তাদের মৃত্যুঝুঁকি কম। কিন্তু গবেষণার ফল বলছে ভিন্ন কথা, যখন কোনো ব্যক্তি অনেক দ্রুত অবৈধভাবে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করে, তখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার মৃত্যুর সময়টাও ততই দ্রুত ঘনিয়ে আসে।

নেদারল্যান্ডসের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ শীর্ষক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, খুব দ্রুত সময়ে অবৈধ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন মানুষকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দেয় ঠিক ততটা গতিতেই।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মানসিক রোগ,অবৈধ সম্পদ,অর্থবিত্ত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close