রায়হান আহমেদ তপাদার

  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বহির্বিশ্বের রাজনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মধ্যপ্রাচ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে। যাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত আবর্তিত হয় বিশ্বরাজনীতির মঞ্চ। বর্তমানে বিশ্বরাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো এই মধ্যপ্রাচ্য। বলাবাহুল্য তা অতীতেও বিরাজমান ছিল, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তথা অবস্থার সাপেক্ষে তা নেহায়েত কম প্রভাবই ফেলত আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক অবস্থার দৃশ্যপট অনুধাবন কিংবা রাজনৈতিক অস্থিরতার চিন্তার ভাঁজ খোলা এবং সহজে এ সমস্যা উদ্ধার করার জন্য শুধু এর ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে অবস্থানরত দেশগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকলে এর মূল উদ্ঘাটন সম্ভবপর নয়, দরকার আন্তর্জাতিক মানদন্ডে রাজনৈতিক অনুসন্ধান।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী দেশ হলো সৌদি আরব ও ইরান। ক্ষমতার দিক থেকে দুই দেশের দ্বন্দ্ব বহু দিনের। প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি বা মোড়লিপনার রাজনীতিতে এই দুই দেশের কেউ পিছিয়ে নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি ও শক্তি অর্জন করায় আমিরাত মধ্য পূর্বাঞ্চলের রাজনীতি এবং জিওপলিটিকসে এক অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতিতে রিজিওনাল পাওয়ার কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য যে, মধ্যপ্রাচ্যে দুটি শক্তি সৌদি আরব ও ইরান আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে স্থান করে নেওয়ার জন্য যুগ যুগ ধরে প্রতিযোগিতা করে আসছে এবং এ প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছে সাম্প্রতিককালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, দেশটা এখন অত্রাঞ্চলে একক আঞ্চলিক পরাশক্তি হওয়ার প্রত্যাশা পোষণ করছে।

অপরদিকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৯ রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত কোয়ালিশনের সদস্য হিসেবে ইয়েমেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, যুদ্ধটা এখনো চলমান। আমিরাত এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে অংশ নিয়েছে। লেবাননের মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনকে সন্ত্রাসী-সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে এর বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। দেশের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাধীনতা-পরবর্তী বড় একটা সময় আমিরাত মূলত নিজেদের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন নিয়েই ব্যস্ত ছিল, তাই বহির্বিশ্বের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায়নি। অর্থাৎ এর ভূমিকা ছিল নিরপেক্ষতার নীতি। বিশেষ করে আমিরাতের জনপ্রিয় শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের শাসনকালে আমিরাত বিশ্বরাজনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা পালন করেননি; বহির্বিশ্বের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে সুলতান আল নাহিয়ান শাসনকার্য পরিচালনা করেছিলেন। বলা যায়, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়; মিত্রতাই ছিল তার পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি।

আমিরাতের এই নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির কারণেই একসময় আমিরাত রাষ্ট্রকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে অভিহিত করা হতো। শুধু যে অর্থনীতিতেই আমিরাত উন্নতি অর্জন করেছে তা নয়; একই সঙ্গে সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতেও দেশটা শক্তি অর্জন করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরব আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনী শান্তিরক্ষায় কাজ করছে; এমনকি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। এভাবে একটা উদীয়মান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে আমিরাত রাজনীতি ও জিওপলিটিকসে অবদান রাখছে। ষাটের দশকেও যে দেশটা ছিল হতদরিদ্র; মৎস্যসম্পদ ও মণিমুক্তা আহরণ-বিপণন এবং তা থেকে আয়কৃত অর্থই ছিল যার অর্থনীতির মূল ভিত্তি।

অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিরাট অংশই ছিল অশিক্ষিত, এমনটা দরিদ্র দেশ কয়েক দশকের ব্যবধানে একটা শিল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। তার জনগণ আজ সর্বক্ষেত্রে স্বাবলম্বী। এ দেশটা হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৬২ সালের দিকে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান পাওয়ায় এবং সেটা দক্ষতার সঙ্গে উত্তোলন করে উন্নত দেশগুলোতে বিক্রি-রফতানি করে প্রাপ্ত আয়ের অর্থ দিয়ে দেশটার অর্থনীতি শক্তিশালীকরণের কাজে এবং শিল্প বিনির্মাণে দক্ষতার সঙ্গে বিনিয়োগ করার ফলে একসময়ের দরিদ্র দেশটা এখন উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে; মানুষ উন্নত জীবনব্যবস্থা ভোগ করছে। জিডিপি পার ক্যাপিটিয়ার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন উন্নত বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সমকক্ষ।

দেশের অর্থনীতি এখন মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে; সৌদি আরবের পরই এর অবস্থান। বিশ্বের নানা দেশে আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর উপস্থিতি এবং এ বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম ক্রয় করতে হয় বলে আমিরাতের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় বাজেটে ঘোষিত ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, আমিরাত সরকার আমেরিকার কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, রাডার যন্ত্রপাতি, মোবাইল রকেট সিস্টেম ইত্যাদি সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে। ফলে আমিরাতের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছিল ২০১৮ সালে ১৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৯ সালে এ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারে। আর সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, দেশটার সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে; যা দেশটার জিডিপির ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রতিরক্ষা ব্যয়ের দিকে মধ্যপ্রাচ্যে আমিরাতের অবস্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ সৌদি আরবের পরই আমিরাতের অবস্থান। আর বিশ্বে আমিরাতের স্থান ১৪তম। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমিরাতের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কারণে তা হলো—আমিরাত সশস্ত্রবাহিনী এখন বিশ্বব্যবস্থায় সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। সাম্প্রতিক সময়কালে প্রচুর অস্ত্র আমদানি করছে। এ সময়কালে ইয়েমেনে আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনী প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে আছে। তাছাড়া লিবিয়ায়ও দেশটার বাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ আছে। এসব যুদ্ধক্ষেত্রের বাহিনীগুলোর জন্য প্রচুর ব্যয় করতে হচ্ছে; অস্ত্র আমদানি করতে হচ্ছে। অর্থাৎ দ্বিতীয় কারণ, অস্ত্র আমদানির জন্যই সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে আমিরাত সরকারকে। দেশটা বিশ্বের পঞ্চম অস্ত্র আমদানিকারক রাষ্ট্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

আমিরাতে অস্ত্র-গোলাবারুদ ইত্যাদি আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ ও রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু আমেরিকার লক্ষ্য হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অত্যাধুনিক অ্যাডভান্সড সার্ভেইলেন্স টেকনোলজি, কমান্ডোস ও ওয়েপনারি দিয়ে সুসজ্জিত করা, শক্তিশালী করা। আমেরিকার এ উদ্যোগের সমালোচনা করে আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক কর্মকর্তা ও ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ফেলো তামারা কফম্যান উইটিস মন্তব্য করেছেন, আমরা লিটল ফ্যাংকেনস্টেইন সৃষ্টি করছি। আমিরাত বিশ্বাস করে এক্সট্রিমিজম এবং টেররিজম—একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই এ দুটি শত্রুর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং লড়াই করে চলেছে আমিরাত।

আমিরাতের বর্তমান শাসক মোহাম্মদ বিন জায়েদ (এমবিজেড) মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রচলিত আর্মি ও সমরাস্ত্র দ্বারা সেটা অর্জন করা সম্ভব নয়; এর জন্য দরকার একটা অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী এবং নতুন প্রজন্মের সমরাস্ত্র। আমিরাত তার স্বার্থের অনুকূলে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য গড়ে তুলছে অত্যাধুনিক সশস্ত্রবাহিনী এবং মজুদ করছে আধুনিক প্রযুক্তির সমরাস্ত্র। একই সঙ্গে দেশটা তার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নীতিতেও সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন সাধন করেছে; যার লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যবস্থায় আমিরাতের বৃহত্তর ভূমিকা পালনের সুযোগ সৃষ্টি এবং মধ্যপ্রাচ্যে দেশটাকে একক আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। আমেরিকার ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজ স্যার এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বেশ কিছু কারণে মানুষ আইএসে যোগদান করেছিল, তার অন্যতম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের অসন্তোষ। এ ছাড়াও অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্ম হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে কেন্দ্র করে। তবে যুদ্ধের মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় ভাবতে হবে। প্রথমত. যুদ্ধ হলে তা কেবল যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব বা ইরানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। দুই দেশের মিত্র দেশ রয়েছে এবং তারাও এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে না পড়লেও এগিয়ে আসবেই। যুদ্ধ এমনিতেই ধ্বংসাত্মক ফল বহন করে। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ হবে আরো ভয়ংকর। এর প্রভাব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। যদিও এ ক্ষেত্রে আরব দেশগুলোর ওপরও এর দায় অনেকখানি বর্তায়।

মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থিতিশীলতা এবং ধূম্রজাল বিশ্বে নেতিবাচক ফলাফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে অধ্যুষিত এই অঞ্চলটিতে আইএসের মতো করে ভিন্ন কোনো সংগঠন কিংবা বিদ্রোহীদের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বস্তুত তাই মধ্যপ্রাচ্যের এই রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংকট দূরীভূত করার জন্য দরকার অধ্যুষিত এই অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে একতা। আশাবাদীরা হয়তো নতুন শান্তিময় মধ্যপ্রাচ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক আদর্শবাদিতার অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বাস্তবতা অত্যন্ত রূঢ়। বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে নিশ্চিত বলা যায়। আইএস-উত্তর মধ্যপ্রাচ্য বৃহৎ শক্তির লড়াইয়ের রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হবে এবং আঞ্চলিক শক্তিসমূহ শিগগিরই তাদের ঠুনকো মিত্রতা জলাঞ্জলি দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আইএস-পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যের জটিল যুদ্ধফ্রন্টসমূহ নানা শাখায় বিভক্ত হবে, কারণ বাশারবিরোধীরা এখন নানা শাখায় বিভক্ত। কাতার এবং সৌদি আরব বাশারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের উসকে দিয়েছে; কিন্তু এই বিদ্রোহীরা এখন সৌদি আরবের চিরমিত্র যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছে। বাশারের বিরুদ্ধে যারা অস্ত্র ধরছে, তারা সংগত কারণে পাশ্চত্য এবং সৌদির একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত হবেন—এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। ইতোমধ্যেই ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অনেক জায়গায় লিবারেশন আর্মি নামক অসংখ্য আঞ্চলিক ব্রিগেড গঠন করে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে। ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি আরব বোমাবর্ষণ করছে। ইরান ও সৌদি আরব আঞ্চলিক প্রাধান্য বজায় রাখতে উন্মত্ত হবে এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের উসকানি দেবে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ব্যাপৃত থাকবে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট [email protected]

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মধ্যপ্রাচ্য,বহির্বিশ্ব,রাজনীতি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close