নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ নভেম্বর, ২০১৯

ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ

আজ ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর শুরু হওয়া রক্তাক্ত এক অধ্যায়ের অবসান ঘটে ৭ নভেম্বর।

অভ্যুত্থান-পাল্টাঅভ্যুত্থানসহ নানা ঘটনার পর এই দিনে তৎকালীন সেনা উপপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন এবং রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে ওই সময়ের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবসান ঘটে। এই দিনটিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে পালন করছে।

বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করলেও আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল ও সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র জাসদ দিনটি ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করছে।

আধিপত্যবাদী শক্তির নীলনকশা প্রতিহত করে সিপাহি-জনতা জিয়াকে মুক্ত করেছে বলে বিএনপির ভাষ্য। জাসদসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ক্ষমতালিপ্সু অফিসারদের ক্ষমতা দখল-পুনর্দখলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে ইতিহাসের এই দিনে ‘সিপাহি-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান’ ঘটেছিল। গত ৪১ বছরে অধিকাংশ সময় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস সরকারিভাবে পালিত হয়েছে।

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এ দিবসে সরকারি ছুটি ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ ছুটি বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ছুটি পুনর্বহাল করে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে ছুটি আবার বাতিল করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সে সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে।

এদিকে দিনটি ঘিরে বিভিন্ন দল ও সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
৭ নভেম্বর,জিয়াউর রহমান,জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close