সম্পাদকীয়

  ১৫ মে, ২০১৯

দারিদ্র্য হ্রাস অব্যাহত থাকুক

দারিদ্র্যের হার কমেছে। অর্থাৎ দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা কমেছে। মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য যদি সত্য হয়, তাহলে সংবাদটি নিঃসন্দেহে শুভ। আর এ কারণে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার পেছনে যাদের মেধা ও শ্রমের জোগান রয়েছে, তাদের অভিনন্দন জানাতেই হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, ২০১৮ সালের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৮ শতাংশ আর হতদরিদ্রের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ দশমিক শূন্য শতাংশ। ২০১৬ সালে তা কমে আসে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে। পাশাপাশি ২০০৫ সালে হতদরিদ্রের হার ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা নেমে আসে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে এবং পরিশেষে ২০১৮ সালে দারিদ্র্যের সেই হার এসে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হার কমে আসার পেছনে সরকারের ইতিবাচক উন্নয়নের ভূমিকাই চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।


উন্নয়নের ধারা যদি চলমান প্রক্রিয়ায় অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ‘দারিদ্র্য’ শব্দটির অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। যা হতে পারে আমাদের জন্য গর্বের


বিবিএস তার প্রতিবেদনে বলেছে, ২০০৫ সালে মোট ১০ হাজার ৮০টি পরিবার, ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৪০টি পরিবার নিয়ে জরিপ করা হয়। আর ২০১৬ সালে নমুনা খানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৮০টি করা হয়। এ সময় দেশের খানাপ্রতি মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা। আবার ২০১৬ সালে মাথাপিছু মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। সর্বশেষ হিসাবে পরিবারভিত্তিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা।

আমরা মনে করি, উন্নয়নের ধারা যদি চলমান প্রক্রিয়ায় অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ‘দারিদ্র্য’ শব্দটির অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। যা হতে পারে আমাদের জন্য গর্বের..., হতে পারে অহংকারের। জাতি হিসেবে আমরা শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় উঠতে চাই। দেশ যদি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে তাহলে শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় পৌঁছানো তখন অনেকটা সহজতর হতে পারে বলেই আমাদের বিশ্বাস। যে ধারা এবং গতিতে এ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে, তা যেন কোনোভাবেই থমকে না যায়। চতুর্মুখী বাধা অতিক্রম করেই চলতে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট দেশটিকে।

আমরা বিশ্বাস করতে চাই, কোনো বাধাই আমাদের চলার এ গতিকে রুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই যখন পথচলা, তখন সব বাধা অতিক্রম করার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা আমাদের আছে। কথায় বলে, ‘সাবধানের মার নেই’। উন্নয়নের প্রশ্নে গ্রামীণ এ প্রবচনকে মাথায় রেখেই পথচলা ছড়িয়ে পড়ুক প্রশাসনের সর্বত্র।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দারিদ্র্য,সম্পাদকীয়,বিবিএ,উন্নয়ন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close