রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১১ মে, ২০১৮

বিশ্বরাজনীতিতে নতুন স্নায়ুুযুদ্ধ

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে রুশ সামরিক বাহিনী ময়দানে থাকার পরও সিরীয় বিমানঘাঁটিতে ওয়াশিংটনের টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের সিরিজ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সিরিয়াতে ওয়াশিংটন এই একবার হামলা চালিয়ে অন্যদের বার্তা দিতে চান, নাকি সামনে আরো হামলা চালানো হবে—তার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ। ট্রাম্প প্রশাসনের শুরুর দিকে রুশ-মার্কিন সম্পর্ক ছিল তুঙ্গে। তবে মস্কো কর্তৃপক্ষ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কতটা ইতিবাচক হওয়া যায়—সে সম্পর্কে পুনর্মূল্যায়ন করছে। যেভাবেই হোক তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠছে এবং এ হামলা দেশ দুটির সম্পর্কে কোনো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিউহাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক ম্যাথিউ শিমিদ মনে করেন, আসাদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা অব্যাহত রাখলে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াতে পদক্ষেপ নেবে। রুশ-মার্কিন বৈরী সম্পর্কের আরেকটি ভয়ঙ্কর ইস্যু হলো পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কারের কদর্য সংস্কৃতি। আন্তর্জাতিক আইনে কূটনীতির নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অধিকার ও সুবিধার কথা বলা হয়েছে। কংগ্রেস অব ভিয়েনার সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে যে ভিয়েনা কনভেনশন রচিত হয়েছে তাতে কূটনৈতিক অঙ্গনকে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির বাইরে রেখে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি উপেক্ষা করে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুশ-পাশ্চাত্যের কূটনৈতিক বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের খেলা চলছে।

গত ৪ মার্চ লন্ডনে একজন রুশ ডাবল এজেন্ট সার্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ অভিযোগ এনে মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব-দ্বন্দ্বের নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। রাশিয়া এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য চাপ দিলেও তাতে পাশ্চাত্য কর্ণপাত করছে না। রাশিয়া অভিযোগ করছে যে, রুশ কূটনীতিক হয়েও স্ক্রিপাল যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের হয়ে কাজ করতেন। কোনোরকম তদন্তের তোয়াক্কা না করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা প্রায় ২৭টি দেশে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের ১৫০ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়াও তার দেশে থাকা ওইসব দেশের ১৫০ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন। ক্রিমিয়া দখল, ইউক্রেনে সহিংসতা সৃষ্টি, বাশার সরকারকে সহযোগিতা, চলমান সাইবার কার্যক্রম এবং পাশ্চাত্য গণতন্ত্র ধ্বংস প্রভৃতি কার্যক্রমে রাশিয়া জড়িত থাকার কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হবু জামাতাসহ ২৪ ব্যক্তি এবং ১৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত ৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়াও কট্টর ভূমিকা পালন করবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে। বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো রুশ-মার্কিন দ্বন্দ্ব। স্নায়ুযুদ্ধের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে তদানীন্তন দুই পরাশক্তি আঁতাত ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি পরিগ্রহ করে। পরবর্তীতে স্নায়ুযুদ্ধের ইতি ঘটলে স্নায়ুযুদ্ধকালীন শ্বাসরুদ্ধকর আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বেশ স্বস্তি নেমে আসে। কিন্তু রুশ-মার্কিন সম্পর্কে ক্রমেই ধস নামতে থাকে এবং বর্তমানে তা মহাযুদ্ধের হুমকি তৈরি করেছে।

স্নায়ুযুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যাচ্ছিল তদানীন্তন বৃহৎ শক্তিসমূহ পর পর দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে জন্ম নেওয়া স্নায়ুযুদ্ধে ক্লান্ত। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হলে বিশ্বময় শান্তির আশা জেগে ওঠে। কিন্তু বিশ্বরাজনীতির নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলো আধিপত্য বিস্তারের মোহ; যা একটি সংক্রামক রোগ এবং যার কোনো চিকিৎসা নেই। স্নায়ুযুদ্ধোত্তরকালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাশ্চাত্য মিত্ররা হয়ত ভেবেছিল, বিশ্ব এখন কেবল তাদের নিয়ন্ত্রণে চলবে। কিন্তু অচিরেই তাদের ভুল ভাঙে। পুঁজিবাদী তাত্ত্বিকগণ যেমন—ফ্রান্সিস ফুকুইয়ামার ইতিহাসের সমাপ্তি তত্ত্বও ভুল প্রমাণিত হয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর প্রায় একই ধরনের বিশ্বদৃষ্টি ও বিশ্বশক্তি নিয়ে রাশিয়া বিশ্বরাজনীতির ময়দানে তুখোড় খেলোয়াড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পূর্ব-ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব-এশিয়াসহ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জর্জরিত পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে রাশিয়া স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত-শৌর্য নিয়ে সর্বত্র পাশ্চাত্য আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে। স্নায়ুযুদ্ধোত্তরকালে জন্ম নেওয়া নতুন মন-কাঠামো; যা পাশ্চাত্যকে বিশ্বশাসনে উৎসাহ জোগায়, তা বাধাপ্রাপ্ত হতে থাকে সর্বত্র। স্বাভাবিকভাবে রাশিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ বিশ্বরাজনীতির দাবার গুটি চালতে থাকে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং অত্রাঞ্চলে নজীরবিহীন সমর-প্রস্তুতি গড়ে। রাশিয়া তখন কূটনীতি ও সমরনীতি দুভাগে ক্রিমিয়া সমস্যার সমাধানে অগ্রসর হয়। ক্রিমিয়ায় ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভোটাভুটি হয় এবং ক্রিমিয়ার জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির পক্ষে ভোট দেয়।

কিন্তু এর প্রতিবাদ হিসেবে ইউক্রেনের রুশ সমর্থিত ভিকটর ইয়ানোকোভিচ সরকারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন উসকে দেওয়া হয় এবং সেই সরকারের পতন ঘটানো হয়। বিশ্বমিডিয়ায় এ দুটি ঘটনাকে বিশ্বরাজনীতির রঙ্গমঞ্চে নতুন স্নায়ুুযুদ্ধের দামামা হিসেবে তুলে ধরা হয়। রাশিয়ায় লৌহমানব হিসেবে প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজের যোগ্যতা ও রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব বিশ্বময় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ততক্ষণে আরব বসন্তের ঝিরিঝিরি বাতাস হইতে শুরু করেছে। আফ্রো-এশিয়ার প্রতিটি আরব রাষ্ট্রে যেখানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের উদ্যোগ চলে, রাশিয়া সেখানে ভূমিকা রাখতে শুরু করে। রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা প্রমাণিত হয় সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে, যেখানে শুরু থেকে পাশ্চাত্যপক্ষ প্রেসিডেন্ট বাশারকে উৎখাত করার নীতি গ্রহণ করে। বাশারকে টিকিয়ে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে রাশিয়া তার আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে মিলেমিশে পাশ্চাত্য নীতি প্রতিরোধে তৎপর হয়। সিরীয়যুদ্ধে রাশিয়া-অনুসৃত কূটনীতি ও সামরিক নীতি ফলদায়ক ও নিখুঁত হিসেবে প্রমাণিত হয়। প্রথমদিকে সামরিক কূটনীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশীদার হিসেবে নিজকে প্রতিপন্ন করে সন্ত্রাসীদের উৎখাত করে, ঘৌতা থেকে তাদের সর্বশেষ আস্তানা উদ্ধার করে সন্ত্রাসপরবর্তী সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে রাশিয়া দৃঢ় নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে। আমার বিশ্বাস, স্নায়ুযুদ্ধোত্তরকালে পৃথিবীতে একক আধিপত্য বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের প্রণীত নীলনকশা বাস্তবায়নে বাধা দিয়ে রাশিয়া পাশ্চাত্যের আধিপত্যবাদী নীতির সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে। রাশিয়াকে রুখতে পাশ্চাত্য এখন পাগলপর আক্রমণে ব্যস্ত।

সিরিয়ার ঘৌতা থেকে বিদ্রোহীদের তাড়াতে হঠাৎ যখন রাশিয়ার সমর্থনে বাশার সরকারের সৈন্যরা আক্রমণ চালাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তিসমূহ নানাভাবে তা বাধা দিতে থাকে। সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দৌমা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, এ রাসায়নিক হামলার কারণে সিরিয়া ও তার সমর্থনকারী দেশ ইরান ও রাশিয়াকে চড়ামূল্য দিতে হবে। গত ১১ এপ্রিল ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, প্রস্তুত হও রাশিয়া, ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হবেই, সুন্দর, নতুন আর স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র! ট্রাম্প সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশারকে গ্যাসের সাহায্যে মানুষ হত্যাকারী জন্তু হিসেবে অভিহিত করে সেই জন্তুর হামলার অংশীদার রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন। লেবাননে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার জাসিপকিন সিরিয়ায় ছোড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার স্থানেও হামলা চালানোর পাল্টা হুমকি দিয়ে বিশ্বরাজনীতির রঙ্গমঞ্চে মহাসংঘাতের অশনিসংকেত ঘোষণা করছেন। অধিকন্তু গত ১৩ এপ্রিল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, রুশ বিরোধীরা দৌমায় রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে, এ ব্যাপারে তার কাছে প্রমাণও রয়েছে। রাশিয়া এ ব্যাপারে তদন্ত করার প্রস্তাবও দিয়েছে। উপযুক্ত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো রুশ-মার্কিন কূটনৈতিক সংঘাত কি শেষ পর্যন্ত সামরিক সংঘাতের রূপ নেবে?

এমনকি প্রস্তাবিত ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠককে বাস্তবায়নেও যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। রাশিয়াও যেকোনো সংঘাত এড়াতে আগ্রহী বলে মনে হয়। সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিলে রাশিয়াও পাল্টা হুমকি দেয় তা প্রতিহত করার এবং একই সময় রুশ সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ সিরিয়ায় অধিকার স্থিতিশীলতা এড়াতে সব পক্ষকে উসকানি মূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক রুশ-মার্কিন উত্তেজনা মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও যদি তার মস্তিষ্কের কঠোরতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে বিশ্বশান্তির জন্য তা মারাত্মক বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে। মার্কিন হামলার পরপরই টিলারসন তার এক বক্তব্যে বলেন, সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করতে ২০১৩ সালের চুক্তি পালনে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। তিনি আরো বলেন, রাশিয়াকে কুকর্মের সহযোগী হতে হবে অথবা তার সামর্থের ব্যাপারে নিজের অদক্ষতা স্বীকার করতে হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে ট্রাম্পের নানা কথা শোনা গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এ ব্যাপারে সাড়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়াকে সামান্য ছাড় দিলেও তাকে দেশটির প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বাধ্যবাধকতা হিসেবে দেখবে বিরোধী দল। টিলারসনকে বন্ধুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে একবার অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ পদকে ভূষিত করেছিলেন পুতিন। এ কারণে মন্ত্রী হিসেবে টিলারসনের শুনানির সময় রাশিয়ার সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক নিয়ে কথা ওঠে।

বিশ্বের নির্যাতিত ও যুদ্ধোত্তর এলাকায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করাই বিশ্বচেতনা ধারণ করা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য। সিরিয়ার রাসায়নিক হামলা এবং স্ক্রিপাল ও তার কন্যার ওপর নার্ভ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা এ দুটো ঘটনার কূটনৈতিক সমাধান দরকার। নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় ঘটনা দুটোকে তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করে নির্মোহ তদন্তের আগে সব পক্ষকে সবর করতে হবে। বিশ্বশান্তির জন্য এখন বিশ্ব শক্তিশালী রাষ্ট্রসমূহের বৈশ্বিক দায়বদ্ধতা দেখানোর উপযুক্ত সময়।

লেখক : গবেষক, সমাজ বিশ্লেষক ও কলামিস্ট [email protected]

​পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
স্নায়ুুযুদ্ধ,বিশ্বরাজনীতি,বিশ্বশান্তি,কলাম
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist