নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবপাচারের সূত্র খুঁজতে ঢাকায় মালয়েশিয়ান টাস্কফোর্স
কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের প্রবেশ করতে দেওয়া কয়েকজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে আটক করেছে মালয়েশিয়ান পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় ওই চক্রে জড়িত বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে ঢাকায় এসেছে মালয়েশিয়ান টাস্কফোর্স। এখানে বাংলাদেশি পুলিশের সহযোগিতায় মানবপাচারের গোড়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে তারা। যদিও মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুসতাফা আলী তাদের কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনই কিছু খোলাসা করেননি। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুসতাফা আলী বলেন, বাংলাদেশি পাচারকারীদের সঙ্গে সর্ম্পক থাকায় ওই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে সবকিছুই এখনই বলতে পারছি না। এসবের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখব কত দিন ধরে তারা এই অবৈধ কাজে জড়িত ছিলেন। তদন্তে প্রমাণ পেলে তাদের চাকরিচ্যুতি ঘটবে।
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগের অনেকেই অনিয়মে জড়িত। এখানে কিছু খারাপ ব্যক্তি রয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা বেশি নয়। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল তান শ্রী মোহাম্মদ ফুজি হারুনের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন মুসতাফা। গত রোববার টাস্কফোর্স ঢাকায় এসে পৌঁছে।
মুসতাফা বলেন, মানবপাচারের বাংলাদেশি গডফাদার নিশ্চয়ই এত দিনে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। আমরা আমাদের দেশের গডফাদারকেও ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে আরো কড়াকড়ি করতে হবে। এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ইমিগ্রেশনে চাপ আরো বাড়বে। কারণ অনলাইনে গৃহকর্মীর জন্যে ভিসা খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে হারিয়ান মেট্রোর একটি রিপোর্টে বলা হয়, চারটি বড় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার হচ্ছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জড়িত। ধারণা করা হচ্ছে, এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা আয় করছে।
পিডিএসও/তাজ