কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী আটক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ায় প্রতিবাদ করায় স্বামী হত্যার প্রধান আসামী জাকিয়া বেগম রোকসানা (৩২) ও তার ছেলে মাহফুজুর রহমান ইমনকে (১৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের হানিফ চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে সিএনজি অটোরিকশা চালক রহিম উল্যাহ মঞ্জু পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম রোকসানাসহ ৫জন মিলে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিহত আব্দুর রহিম মঞ্জুর ভগ্নিপতি আবু তাহের মিয়াধন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-০৯)।
রোববার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রবিউল হক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফ উদ্দিনের নেতৃত্বে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের হানিফ চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন ২৯ দিঘি এলাকায় প্রধান আসামী রোকসানার ফুফুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় আটককৃতদেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এসময় তার ছেলে মাহফুজুর রহমান ইমনকে (১৪) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে রোকসানার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের পর ইমনকে গ্রেফতার করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, জাকিয়া বেগম রোকসানার উশৃঙ্খল চলাফেরা ও পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় এবং পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী আব্দুর রহিম মঞ্জুকে (৩৫) জাকিয়া বেগম রোকসানা তার ভাই জহিরুল ইসলাম মিলন, জসিম উদ্দিন ও জুয়েলের সহযোগীতায় ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ফাতেমা মঞ্জিলের ২য় তলার ভাড়া বাসায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে জাকিয়া বেগমও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।
মামলা দায়ের পরপরই ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে মামলার ২নং আসামী জাকিয়া বেগম রোকসানার ভাই জহিরুল ইসলাম মিলনকে (২৮) নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী জাকিয়া বেগম রোকসানার ভাই জহিরুল ইসলাম মিলনের ১৬৪ ধারায় গৃহীত জবানবন্দীতে সে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে এবং এ ঘটনায় তার বোন রোকসানা, ভাই জসিম ও জুয়েল এবং ভাগিনা মাহফুজুর রহমান ইমন জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে।
পিডিএসও/রানা