জুবায়ের চৌধুরী

  ২১ আগস্ট, ২০১৭

তেরো বছরেও শেষ হয়নি বিচার

আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট

আজ ভয়াল ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনার পর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) ও হরকাতুল মুজাহিদীনের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সংশ্লিষ্টতা পান তদন্তকারীরা। ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে ঘটনাটিকে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার ভিন্ন খাতে নেওয়ারও অপতৎপরতা চালায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয় দফায় অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসে হামলার নীলনকশা। বেরিয়ে আসে নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের নামও। দুই দফা তদন্তে ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের পর শুরু হয় বিচারকাজ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা ২১ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলার বিচার ১৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে, চলতি বছরের মধ্যেই বিচারকাজ সম্পন্ন হবে। মামলা দুটি বর্তমানে সাফাই সাক্ষী গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে কারাগারে থাকা ২৩ আসামির মধ্যে ছয় আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আর দুই আসামির পক্ষে আটজনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা আছে। মামলা দুটিতে কারাগারে থাকা ২৩ আসামি এবং জামিনে থাকা আট আসামি সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষেই রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন মামলার বিচার পরিচালনা করছেন। আগামীকাল ২২ আগস্ট মামলা দুটিতে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

বিচার বিলম্বের কারণ সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, প্রথমে মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চার্জশিটও অসম্পূর্ণ ছিল। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলা দুটি অধিকতর তদন্তে যায়। দুই দফা তদন্তেই ছয় বছর সময় পেরিয়ে যায়। এ ছাড়া আসামিপক্ষ বিচার বিলম্বের বিভিন্ন আদেশের বিরুদ্ধে কয়েক দফা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় আরো ২৯২ কার্যদিবস ব্যয় হয়। অন্যদিকে, আসামিপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণে সময় ক্ষেপণের জন্য সাক্ষীদের অপ্রাসঙ্গিক জেরা করায় অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। আসামিপক্ষ এভাবে সময় নষ্ট না করলে আরো অনেক আগেই বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়া সম্ভব ছিল। তিনি আরো জানান, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তাই নির্দিষ্ট করে বিচার শেষ হওয়ায় দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। তবে আশা করছি, ন্যায়বিচার সমুন্নত রেখে চলতি বছরের মধ্যেই অবশিষ্ট বিচারকাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।’

অন্যদিকে, মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর আইনজীবী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলা দুটি বিচার শেষ করতে তড়িঘড়ি করছেন। তারা রাজনৈতিকভাবে নেতাদের সাজা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।

এদিকে মামলা দুটিতে চার্জশিটের ৪৯১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য সমাপ্ত ঘোষণা করে, যা গত ৩০ মে সম্পন্ন হয়। এরপর গত ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শুরু হয়, যা গত ১১ জুলাই শেষ হয়। আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামিই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর গত ১২ জুলাই আসামিদের সাফাই সাক্ষ্য শুরু হয়। এর আগে মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ওই বছর ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০১১ সালের ৩ জুলাই অধিকতর তদন্ত শেষে তারেক রহমানসহ আরো ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক চার্জশিটের ৩০ আসামির অভিযোগ গঠন করার পর আবার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগিনা লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আবদুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন। অন্যদিকে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ (কারাগারে মৃত্যু) ২৩ জন কারাগারে রয়েছেন। মামলার অন্য আসামি জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এবং হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। পলাতক রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গ্রেনেডের স্পিøন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী, সমর্থক ও দ্বায়িত্বরত সাংবাদিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি লোপ পায় তার। দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এই গ্রেনেড হামলার আগে ও পরে প্রায় ২০ বারেরও বেশি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা চালায় জঙ্গিরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সবাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তৎকালীন সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী অফিসার। এ সময় বিদেশ থাকায় শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান।

এদিকে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি। তারা হলেন মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, আরিফ হাসান সুমন ও রফিকুল ইসলাম সবুজ।

হামলায় নিহত যারা : আইভি রহমান, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামী লীগ কর্মী রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগমসহ ২৪ জন নিহত হন। একজনের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

আহত যারা : বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, এএফএম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা পারভীন, নাসিমা ফেরদৌস, রুমা ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : এদিকে, দিবসটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২০০৪ সালের পর থেকে এ দিনটিকে গ্রেনেড হামলা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দেশবাসী। আওয়ামী লীগও দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ দিবসটি স্মরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করতে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি স্মরণ ও পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সেদিন যা ঘটেছিল : সেদিন ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ভ্যাপসা গরমে অস্থির সবাই। ঠিক বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল চারপাশ। শক্তিশালী ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটল পরপর। মুহূর্তেই রক্তস্রোতে ভেসে গেল রাজপথ। ছিন্নভিন্ন মানবদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ল সবখানে। ওই সময় সবার একটিই জিজ্ঞাসা ছিল, ‘শেখ হাসিনা কোথায়? বেঁচে আছেন তো!’ খানিক পরই যেন কানে এলো দৈববাণী, তিনি মৃত্যুর জাল ছিন্ন করে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু স্পিøন্টারের আঘাতে তখন ঝরে পড়ল আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ।

বিভীষিকাময় ওই গ্রেনেড হামলার আগ মুহূর্তে খোলা ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। ভাষণ শেষে শান্তি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতির সময় বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোরিত হয় তাজা গ্রেনেড। শেখ হাসিনার বুলেটপ্রুফ গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে আসে ১২টি গুলি। এতে আওয়ামী লীগ অফিসের চারপাশে রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। বীভৎস ওই গণহত্যার পরমুহূর্তে ঘটনাস্থলে হাত-পাসহ মানবদেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। ফিনকি দিয়ে মানবদেহ থেকে তখনো বেরিয়ে আসছিল রক্তস্রোত। ট্রাকের চারপাশও ছিল জমাটবাঁধা রক্ত। চেয়ারের ওপর ছোপ ছোপ রক্ত। কমবেশি সবাই আহত হয়ে স্তূপাকারে মাটিতে পড়ে আছেন। শত শত মানুষ মরণ যন্ত্রণায় চিৎকার করছে।

চারদিকে ধ্বংসযজ্ঞ, আহাজারি। ছড়িয়ে আছে অসংখ্য জুতা-স্যান্ডেল, ব্যানার-ফেস্টুন। মুমূর্ষুদের আকুতি, কাতর গোঙানি, আর্তনাদের অবর্ণনীয় মর্মান্তিক দৃশ্য। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার মতো অবস্থাও ছিল না। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে না পারায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। অনেকে প্রাণভয়ে দিগবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। প্রিয় মানুষের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন অনেকে। অঝোরধারায় কেঁদেছেন অনেকে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। রিকশা-ভ্যানে ও ঠেলাগাড়িতে করে আহতদের নেওয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। আহতদের উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা ছিল না। উল্টো বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে। সেদিন হিংস্র শ্বাপদের ভয়ংকর গ্রেনেড হামলার টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। আর জীবনবাজি রেখে মানববর্ম তৈরি করে তাকে বাঁচিয়েছেন প্রিয় সহকর্মী-সহমর্মিরা।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
২১ আগস্ট,গ্রেনেড হামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist