চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯টি গুলিসহ ৩টি পিস্তল উদ্ধার
তিন পিস্তলসহ নয়টি গুলি উদ্ধারের মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চার বাড়িতে অভিযান শেষ করেছে র্যাব। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বুধবার ভোর ৪টার দিকে জেলার নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের (৪৩) বাড়ি, ফুরশেদপুর গ্রামের আবজাল হোসেনের বাড়ি, গোমস্তাপুর উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের এজাবুল হকের বাড়ি ও শিমুলতলা গ্রামের শুকুর উদ্দিনের বাড়ি ঘিরে অভিযান চালায় র্যাব।
র্যাব-৫-এর অধিনায়ক মাবুবুল আলম বেলা সাড়ে ১১টায় শুকুর উদ্দিনের বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “বুধবার ভোর ৪টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার বাজারপাড়া থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। তারা নব্য জেএমবির তামিম-সারোয়ার গ্রুপের সদস্য। তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে র্যাব জানতে পেরেছে।”
তারা তিনজন হলেন - নাচোল উপজেলার বালুগ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৩), মফিজুদ্দিনের ছেলে আবদুস শুকুর ওরফে শুকুদ্দি (৪৩) ও গোমস্তাপুর উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের টুগু মোড়লের ছেলে সাইফুল আলম (৩২)।
র্যাব অধিনায়ক মাবুবুল বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় অর্ধশতাধিক জঙ্গি রয়েছে। আটককৃতদের কাছে তথ্য পেয়ে চার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। নাচোলের চাঁদপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের (৪৩) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়।
“আর গোমস্তাপুর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে শুকুর উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় তিনটি পিস্তল, ৯টি গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন।”
এদিকে র্যাব শুকুরকে সকালে আটক করে বলে দাবি করলেও শুকুরের বাবা মফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, দিন পনের আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে শুকুরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তবে অধিনায়ক মাবুবুল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শুকুর ২০১২ সালের একটি হত্যামামলার আসামি। সালমান নামে এক জেএমবি সদস্য অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে খুন হলে সে মামলায় শুকুরকে আসামি করা হয় বলে জানান র্যাব অধিনায়ক।
পিডিএসও/রানা