যুবককে দিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও করে চাঁদা চাইল নারী
পরীক্ষার খবর জানানোর কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ৩৮ বছরের এক ব্যক্তিকে দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছে এনজিও কর্মী এক নারী।
পরে নিজ হাতে ধর্ষণের ওই ঘটনার ভিডিওচিত্রও ধারণ করেন ওই নারী। পরে ভিডিও প্রচারের হুমকি দিয়ে নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেছে ধর্ষক ও ওই নারী।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বামনা থানায় নির্যাতিত ছাত্রীর মা মামলা করেছেন।
বরগুনার বামনা উপজেলায় মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। মামলায় ধর্ষক শফিকুল ইসলাম লিটন সিকদার (৩৮) এবং সহযোগী এনজিও কর্মী আসমা আক্তার আসমানীকে (২৯) আসামি করা হয়েছে।
ছাত্রীর পরিবার ও বামনা থানা সূত্রে জানা যায়, ২৫ এপ্রিল বিকালে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিল উপজেলা সদরের পূর্ব সফিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী।
ওই সময় পরীক্ষার খবর জানানোর কথা বলে তাকে বাসায় ডেকে নেয় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া এবং ম্যান ফর ম্যান এনজিওর কর্মী আসমা আক্তার আসমানী।
একপর্যায়ে ছাত্রীকে বাসার দোতালায় আটকে রেখে উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের হাচন আলী সিকদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম লিটন সিকদারকে খবর দেয়।
লিটন দোতালায় ওঠে ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। ওই সময় আসমানী মোবাইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করেন। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়ে কাউকে ঘটনা না বলতে ওই ছাত্রীকে হুমকি দেয় লিটন ও আসমানী।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন সে তার মাকে জানায় লিটন তাকে ধর্ষণ করেছে।
পরে ওই রাতেই লিটন সিকদার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে এবং এর ভিডিও রয়েছে জানিয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিও প্রচার করে দেওয়ারও হুমকি দেয় সে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রীর মা ধর্ষক লিটন এবং সহযোগী আসমানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বামনা থানার ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।
পিডিএসও/রিহাব