দীপক শর্মা দীপু,কক্সবাজার
ইয়াবা কারবারির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ উত্তরণ আবাসিক এলাকার পিছনের পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় লাশের পাশ থেকে ১ টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি ও ২ হাজার ৮০০ ইয়াবা পাওয়া যায়। নিহত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম মোস্তাক আহমদ ওরফে হাজী মুফিজ (৩২)।সে কক্সবাজার সদর উপজেলার কলাতলীর বড়ছড়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে। মফিজের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ইয়াবা পাচারের ৬টি মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দন চৌধুরী জানান, লেনদেন নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দু’গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোস্তাক আহমদ ওরফে হাজী মুফিজ (৩২) কক্সবাজার সদর উপজেলার কলাতলীর বড়ছড়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে। ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোস্তাকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বখতিয়ার আরও বলেন, শুক্রবার ভোরের দিকে কক্সবাজার শহরের উত্তরণ আবাসিক এলাকার পিছনের পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন,পরে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, দেশে তৈরী ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি ও ২ হাজার ৮০০ ইয়াবা।
প্রসঙ্গত,নিহত ইয়াবা মফিজ দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।প্রায় ৩ বছর আগে মফিজ কক্সবাজারের কলাতলীর দরিয়ানগরে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।এসময় আদালতে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সে অন্তরালে চলে যায়। পরে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারী র্যাবের হাতে ৪০ কোটি টাকার ইয়াবাসহ গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে আটক হয় কক্সবাজার শহর কৃষকলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন।তবে ইয়াবাগুলো ছিল মূলত তার ফুফাত ভাই কলাতলীর মফিজ ওরফে এই ইয়াবা মফিজের। বর্তমানে মফিজ সিন্ডিকেটের অর্ধশতাধিক পাচারকারী কক্সবাজার শহরে সক্রিয় রয়েছে। যারা এখন প্রত্যেকেই কোটিপতি।পিডিএসও/রানা