রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মো. সাহেদকে খুঁজছে সাতক্ষীরা পুলিশ। মঙ্গলবার দিনব্যাপী সাহেদকে ধরতে একযোগে অভিযান চালিয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। তবে হদিস মেলেনি সাহেদের। এ ছাড়া সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকা কোর্টের একটি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে সাতক্ষীরা থানায়। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাহেদ। তবে তিনি পলাতক।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকা আদালতের একটি সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে সাতক্ষীরা থানায়। ঢাকা যুগ্ম জজ ১ম আদালতের সিআর ১৪৮৮ নং মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী প্রতারক সাহেদ। গত তিন বছর যাবৎ ওয়ারেন্টটি পড়ে থাকলেও সাহেদ সাতক্ষীরায় আসে না। তাকে ধরতে দিনব্যাপী পুলিশ অভিযান করছে। তবে এখনও তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, সিআর মামলায় কত দিন বা কত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে সেটি ওয়ারেন্টে উল্লেখ নেই। মামলার বাদি কে বা কি মামলায় সাহেদ সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, বিস্তারিত তথ্যের জন্য ঢাকা আদালতে যোগাযোগ করতে হবে।

এদিকে, সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও নজরদারি করা হচ্ছে। সাহেদ যেন কোনভাবেই ভারতে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

ভোমরা বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ পরিদর্শক বিশ্বজিত সরকার জানান, উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে এখন ভারতে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া চোরাই পথেও যেন প্রতারক সাহেদ কোনভাবে ভারতে যেতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সর্তকর্তা অবলম্বন করা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, শুধু সাহেদ’ই নয় যে কেউ সীমান্ত দিয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হবে। সাতক্ষীরার সীমান্তগুলোতে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম