নওগাঁ প্রতিনিধি

  ১৩ জুলাই, ২০২০

নওগাঁয় চাঁদাবাজির অভিযোগে কাউন্সিলরসহ আটক ৪

নওগাঁয় চাঁদাবাজির অভিযোগে পৌরসভার কাউন্সিলরসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, নওগাঁ শহরস্থ খাস নওগাঁ এলাকায় আজাদ সোনারের বাড়িতে রিপন মন্ডল(২৯) নামে এক ব্যক্তি ১ মাস পূর্বে বাড়ি নিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করছিল। রোববার দুপুরে নওগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ(৫১) তার দলবল নিয়ে রিপন মন্ডলের ভাড়াবাড়িতে গিয়ে তাদের বলে তোমরা স্বামী-স্ত্রী সেজে এ বাড়িতে দেহ ব্যবসা করছো। এ কথা বলে তাদেরকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখে ওই দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়ে বিয়ের কাগজপত্র চেয়ে চলে যায়।

পরে কাউন্সিলর তার দলবল নিয়ে পুনরায় এসে বিয়ের কাগজ চাইলে রিপন তার বিয়ের কাগজপত্র দেখায় কিন্তু তারপরও কাউন্সিলর বনরাজসহ তার দলবলেরা তাদের মারপিট করে এবং এক পর্যায়ে কাউন্সিলর বনরাজ রিপনকে বলে এখানে বাস করতে হলে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে নইলে তাদের পরিনাম খুব খারাপ হবে।

এ সময় রিপনের স্ত্রী দিলরুবা খাতুন সান্তনা(৩৮) পুলিশকে সংবাদ দিলে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই আসামিরা পলিয়ে যায়। পরে রিপন মন্ডল বাদী হয়ে কাউন্সিলরসহ নওগাঁ শহরস্থ খাস নওগাঁ (মফিজপাড়া) এলাকার ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে নওগাঁ পৌরসভার ৫ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ (৫১), আবু রিহান (১৯), রাসেল হোসেন (২০), হৃদয় মন্ডল (২০) জনকে গ্রেফতার করে সোমবার জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গোলাপ রহমান বনরাজ নওগাঁ শহরস্থ গোস্ত হাটির মোড়ে বনরাজ ঔষধালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিজেকে হেকিম পরিচয় দিয়ে হারবালের রমরমা ব্যবসা করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করছিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোলাপ রহমান বনরাজ একজন বি ক্যাটাগরির প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হারবাল চিকিৎসক। বিধি মোতাবেক সে কোন প্রকার প্রেসক্রিপশন অথবা নিজেকে হেকিম বলে পরিচয় দিতে পারবে না। অথচ ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁ শহরের জনাকীর্ণ এলাকায় বিলাস বহুল চেম্বারে বসে হারবাল ঔষধ তৈরী করে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে আসছিল। আসামিরা পলাতক ও জেল হাজতে থাকায় তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।

এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর বনরাজের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নওগাঁ,চাঁদাবাজি,কাউন্সিলর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close