নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
নাঙ্গলকোটে ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা
৪ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার
শ্বাসরোধ করে হত্যার চারদিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জিয়াউল হক (৩০) নামের এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার রাত ১০টায় উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউপির দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের চাচা বাহারাইন প্রবাসী বাছিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
রোববার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচি মোর্শেদা বেগমকে আটক করা হয়। অপরদিকে অন্য অভিযুক্ত চাচা প্রবাসী বাছির পলাতক রয়েছেন।
নিহতের পিতা হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, জিয়াউল হক গত বুধবার নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শুক্রবার তিনি বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে চাচি মোর্শেদাকে সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার রাতে তাদের বাড়ির পরিত্যাক্ত সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দি ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর আগে চাচা বাছিরের সাথে প্রবাসে থাকা অবস্থায় দুই লাখ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা আজ না কাল দিচ্ছে এ নিয়ে অনেক ঘোরাচ্ছেন। মনে হয় গত বুধবার ওই টাকার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে জিয়াউল হককে স্বামী-স্ত্রী মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী এসআই ওবায়দুল হল বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চাচির সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, জিডির সূত্রে চাচি মোর্শেদামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরিত্যাক্ত সেফটি ট্যাংক থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিডিএসও/হেলাল