হিলি প্রতিনিধি

  ২৪ মে, ২০২০

হিলির আদিবাসী পল্লীতে ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী

হিলির আদিবাসী পল্লীতে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত যুবক ও তার স্ত্রী। তবে অভিযুক্তের বাড়ি তালাবদ্ধ করে রেখেছে এলাকাবাসী। এদিকে থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও থানায় ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। সাংবাদিকের উপস্থিতি কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য গেলেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না হাকিমপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ।

মেয়েটির বাবা ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে উপজেলার চন্ডিপুর আদিবাসী পল্লীতে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার রহমত নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। পাশের বাড়ির এক নারী দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে রহমতকে হাতে-নাতে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গেলে ওসি স্যার আসেনি অজুহাতে ভুক্তভোগীদের থানায় ঢুকতে দেয়নি দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার। নিরুপায় হয়ে রহমতকে ছেড়ে দিয়ে সবাই ফিরে যায় আদিবাসি পল্লীতে। অভিযুক্তকে আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে সাংবাদিক যাওয়ায় কথা শুনে পরির্দশনে যায় থানা কর্তব্যরত দুইজন পুলিশ সদস্য।

হাকিমপুর থানার এসআই মোবারক হোসেন জানান, আদিবাসী পল্লীতে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে আসল ঘটনা কি।

তবে হাকিমপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হিলি,আধিবাসী পল্লী,ধর্ষণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close