ঢাকার ধামরাইয়ে মধ্যে কেলিয়া গ্রামে মাদকের টাকা না দেওয়ায় আপন চাচাতো ভাই এস,এস,সি পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী মোঃ ইমন হোসেন (১৭) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া মধ্যে পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসি মোঃ ইমনকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত মোঃ ইমন উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের মধ্যে কেলিয়া গ্রামের মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ঘটুর ছেলে। ইমন চলতি বছর কেলিয়া এ্যাসেড ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, র্দীঘদিন ধরে মোঃ সাত্তার হোসেন মাদকের সাথে জড়িত থাকায় সে যে কাউকে মারতে দ্বিধা করেনা। এর আগে সাত্তারকে এলাকার লোকজনের পরামর্শে দীর্ঘদিন মাদক নিরাময় কেন্দ্র(রিহ্যাবে) রেখে চিকিৎসা করানো হলেও সে মাদকের পথ থেকে সরে আসতে পারে নাই। তারই জের ধরে আজ সকালে মাদকের টাকা না পেয়ে সাত্তারের আপন চাচাতো ভাই মোঃ ইমনকে দিন দুপুরে নিজ বাড়িতে ছুরি দিয়ে পেটের মধ্যে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে প্রত্যেক্ষদর্শী ইমনের ফুফি শাকিলা বেগম বলেন, আজ সকাল ১১টার দিকে সাত্তারের ঘরের বারিন্দায় বসে সাত্তারের স্ত্রী ও ইমনের বোন শিমুলী আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ার এক পর্যায়ে ইমন ঘুম থেকে উঠে একটি লাঠি নিয়ে বের হয়। তখন সাত্তার তার নিজ ঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে বের হয়ে ইমনের পেটে আঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলে।

এই বিষয়ে সাত্তারের ভাবি রাবেয়া বেগম বলেন, সাত্তারের বউয়ের সাথে ইমনের মা ও বোনের কথা লাগলে ইমন ঘর থেকে লাঠি নিয়ে আসে, এদিকে সাত্তার ঘর থেকে ছুরি নিয়ে আসলে আমি থামানোর আগেই সাত্তার ছুরি ইমনের পেটে ছুরি মারে। তখন আমি সাথে সাথে গামছা দিয়ে বেধে এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে তারা তাকে মৃত বলে।

এই বিষয়ে ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, মাদকের টাকা না দেওয়াই আপন চাচাতো ভাই ইমনকে পেটে ছুরি মেরে হত্যা করেছে সাত্তার। কারণ এর আগে সাক্তার মাদক খাওয়ার কারণে তাকে রিহ্যাবে রেখে চিকিৎসা করানো হয়েছে। তারপর সে মাদক ছাড়তে পারে নাই।

এই ব্যাপারে ধামরাই থানার (ওসিতদন্ত) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, কেলিয়া গ্রামে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা তদন্ত করতেছি, তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে আসল ঘটনাটা কি।