ফোনের লক খুলতেই মিললো ধর্ষণের ভিডিও
সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান। কিছুদিন আগে তার দোকানে কেনাকাটা করতে আসে এক শিশু। ফুসলিয়ে তাকে দোকানের ভেতরে নিয়ে যান তিনি। গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করেন, ধারণ করেন ভিডিও।
ওই ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন ভুক্তভোগীকে। এর কয়েক দিন পর একইভাবে ধর্ষণ করেন শিশুটিকে।
সম্প্রতি মিজানুরের ব্যবহৃত মোবাইলটি লক হয়ে যায়। খুলতে না পারায় প্রতিবেশী কুতুব আলীর কাছে যান তিনি। কুতুব মোবাইলটি নিয়ে মেকানিকের কাছে গেলে তিনি লক খুলে দেন। পরে তিনি মিজানুরের মোবাইল ঘাটতে শুরু করেন। বিভিন্ন ফাইলের মধ্যে ওই শিশুকে ধর্ষণের ভিডিও পান কুতুব।
ভুক্তভোগীর বাবাকে ডেকে পাঠান তিনি। পরে সম্পূর্ণ বিষয়টি তাকে খুলে বলেন। বাড়ি গিয়ে মেয়ের কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চান বাবা। তাকে সব কথা বলতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি।
মেয়ের কাছে ঘটনার ব্যাপারে শোনার পর থানায় গিয়ে মিজানুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেন বাবা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বানুরকুটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরের বাবার নাম মুনছুর মণ্ডল ওরফে পান মামুদ।
ভুক্তভোগীর চাচা ও মামলার সাক্ষী জানান, গত মাসে মিজানুরের দোকানে কেনাকাটা করতে গেলে কৌশলে তাকে ভেতরে নিয়ে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করেন। ঘটনার ভিডিও করে ইন্টারনেটে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তার ভাতিজিকে ধর্ষণ করেন।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভিডিওর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্ত করে দেখছি। সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আলাদা আইনেও মামলা হতে পারে।’
পিডিএসও/রি.মা