প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০১ অক্টোবর, ২০১৯

ধর্ষণের সত্যতা মেলায় পল্টনের ওসি বরখাস্ত

পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক

বিয়ের প্রলোভন ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাময়িক বরখাস্ত করার পাশপাশি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করার কথাও জানিয়েছেন সোহেল রানা। অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এর বেশি কিছু বলার নাই।

এক নারী গত আগস্টের শুরুতে পুলিশ সদর দপ্তরে ওসি মাহমুদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে অভিযোগের ‘কিছু সত্যতা’ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানান মোনালিসা। তার ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ওসি মাহমুদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

ওই নারীর অভিযোগ, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে এনে একটি হোটেলে তোলেন ওসি। সেখানে খাবারের সঙ্গে ‘চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

লিখিত অভিযোগে ওই নারী বলেন, চেতনা ফেরার পর ঘটনা বুঝতে পেরে তিনি প্রশ্ন করলে মাহমুদুল হক তাকে ‘ভালোবাসার কথা, বিয়ে করার আগ্রহের কথা’ বলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরেও বিভিন্ন সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকরিরত ওই নারী।

তিনি লিখেছেন, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে ‘বাধ্য করেন’। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে অফিসে গেলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন।

এই পরিস্থিতিতে ওসি মাহমুদুলের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। তার দাবি, মাহমুদুলের বাবা প্রথমে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখলেও পরে ছেলের সঙ্গে মিলে নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন। আর কোনো উপায় না দেখে একসময় আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ওসি বরখাস্ত,ধর্ষণ,পল্টন থানা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close