নওগাঁ প্রতিনিধি

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

দুদকের জালে আত্মসাৎকৃত টাকাসহ অফিসের উচ্চমান সহকারী

নওগাঁয় সঞ্চয় অফিস থেকে সঞ্চয়ীদের আত্মসাৎকৃত ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে দুদক। এই আত্মসাৎ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. হাসান আলীকে গ্রেফতরা করা হয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন জানান, জাতীয় সঞ্চয় অফিসের নওগাঁর ব্যুরো থেকে ৬২ জন সঞ্চয়ীর ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লাপাত্তা হয়েছে মর্মে একটি মামলা করেন ওই অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।

পরে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরিত হলে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে দুদুক। প্রথম পর্যায়ে সঞ্চয় অফিসের অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে এ সাদ্দাম হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি এবং গোপন সোর্সের মাধ্যমে দুদক সংবাদ পায় যে অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. হাসান আলী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার অফিসের আলমারিতে আত্মসাৎকৃত টাকা রয়েছে।

এরপর বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন নওগাঁয় সঞ্চয় অফিসে দিনব্যাপী তল্লাশি চালান। এই হাসান আলীর অফিসিয়াল আলমারি থেকে ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। দুদকের অনুমান এই টাকাগুলো গ্রাহকের আত্মসাৎকৃত টাকার অংশ।

বিকাল ৫টায় জাতীয় সঞ্চয় অফিসের বগুড়া ব্যুরোর উচ্চমান সহকারী হাসান আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। নওগাঁ সদর থানার পুলিশ তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করে।

এর আগে নওগাঁয় জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরে গ্রাহকের প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়েছে। বিভাগীয় অডিটে বিষয়টি বেরিয়ে আসার পর এতে অফিস সহায়ক সাদ্দাম হোসেনকে দায়ী করেন কর্মকর্তারা। ঘটনাটি অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ার পর নওগাঁ সঞ্চয় অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত সঞ্চয় কর্মকর্তা নাসির হোসেন বাদী হয়ে গত ১৫ জুন অফিস সহকারী সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

নওগাঁ সঞ্চয় অধিদফতর অফিসে ২০১৪ সাল থেকে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিল সাদ্দাম হোসেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে হঠাৎ করে অফিসে আসা বন্ধ করে দেয় সে। এরপর ৭ মাস অফিসে আসেনি। সাদ্দাম বেশকিছু আমানতের হিসাবের রেকর্ড না রেখে গ্রাহককে ভুয়া সিল-স্বাক্ষরে রসিদ দিয়েছে। এ ধরনের বিভিন্ন পন্থায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন গাইবান্ধা জেলা সদরের পশ্চিম কোমরনই গ্রামের বক্তার আলীর ছেলে। গত ২৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল তাকে আটক করে। বর্তমানে দুদকের টিম এ মামলার তদন্ত করছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আত্মসাৎকৃত টাকা,দুদক,উচ্চমান সহকারী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close