জুবায়ের চৌধুরী

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ক্যাসিনো কাণ্ডে তোলপাড়

রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) কারবার চলে আসছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখন জুয়ার আড্ডা এই ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গত বুধবার গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে। যুবলীগের অন্যতম শীর্ষ এই নেতাকে গ্রেফতারের পর ক্ষমতাসীন দলে থাকা অনেক অসাধু ব্যক্তি আতঙ্কে রয়েছেন।

যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়ার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরা জড়িত কি-না তা তদন্তের বিষয়। তদন্তে যার নাম আসবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া ক্যাসিনো চালানো অপরাধ।

এদিকে ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। রাজধানীজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০টির মতো ক্যাসিনো রয়েছে। এসব ক্যাসিনোতে প্রতিদিন প্রায় শত কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়। এই জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তিনটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর সবকটিই এখন বন্ধ রয়েছে। জড়িতদের ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এদের অনেককে দণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মুখ খুলেছেন। ক্যাসিনোর টাকা কার কাছে কত যেত সে বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র‌্যাবের কাছে জানিয়েছেন, ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেত পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, ডিসি, রাজনৈতিক নেতা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সাংবাদিক ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের নাম। সেসব বিষয়ে তদন্ত করছে র‌্যাব। এরই মধ্যে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

র‌্যাবের সূত্র জানায়, প্রত্যেকটি ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হতো। এই জুয়ার আসরের লাভের অংশের ভাগ সবার কাছে পৌঁছায় দিতে হতো। সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের এসি, ডিসি ও ওসির কাছে মাসিক হারে টাকা পৌঁছে যেত। এমনকি যারা এসআই তাদেরও টাকা দিতে হতো। তবে তাদের পরিমাণটা ছিল কম। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ক্যাসিনো এলাকার পুলিশের বিট অফিসারও পেত টাকার ভাগ। টাকার ভাগ রাজনৈতিক নেতার পকেটেও যেত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো। এমনকি কাউকে কাউকে গাড়ি উপহার দিতে হয়েছে। অনেককে দিতে হয়েছে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা দামের মোবাইল ফোন। এমন নেতাদের তালিকাও করা হচ্ছে। টাকার ভাগ যেত অনেক সাংবাদিকের পকেটেও। এরই মধ্যে খালেদ সবার তালিকা র‌্যাবের কাছে দিয়েছে।

র‌্যাবের কাছে খালেদ জানিয়েছে, মগবাজার টিএনটি কলোনির সন্ত্রাসী নাজির আরমান নাদিম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের হয়ে ঢাকায় কাজ করেন খালেদ। চাঁদাবাজি ও ক্যাসিনোর টাকা ওমানের মাসকটে থাকা সন্ত্রাসী নাদিমের কাছে পাঠায় খালেদ। সেখান থেকে জিসানও ভাগ পায় টাকার। শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বর্তমানে ভারতের পাসপোর্ট দিয়ে জার্মানিতে স্থায়ী হয়েছে। জিসানের দুবাইয়ের দেরাতে চারটি স্বর্ণের দোকান আর আল ফজিরা সিটি জায়েদ শেখ মার্কেটে রয়েছে নাইট ক্লাব। এসব ব্যবসায় চট্টগ্রামের অনেক ব্যবসায়ীর শেয়ার রয়েছে। সেই সুবাদে জিসান জার্মানি থেকে দুবাইয়ে আসা-যাওয়া করেন। ঢাকায় জিসানের যেখানে যেখানে আধিপত্য ছিল তার সবই নিয়ন্ত্রণ করত খালেদ।

এদিকে গত বুধবার ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাব ও পরে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে র‌্যাবের অবৈধ ক্যাসিনো উচ্ছেদ অভিযানের পর ওই এলাকার পরিবেশটা থমথমে। বেশির ভাগ ক্লাবেই দায়িত্বশীল কেউ নেই। স্টাফরা দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মধ্যে আতঙ্ক। কখন আবার নতুন করে অভিযান শুরু হয়। আরামবাগ ও মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় ঘুরে দেখা গেছে শুধু উৎসুক মানুষ। যাদের বেশির ভাগেরই অভিযোগ ক্লাবগুলোর এ জুয়ার আসরের কারণে নিঃস্ব হয়ে গেছে হাজার মানুষ। বিভিন্ন ক্লাবের সামনে মানুষ জড়ো হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম দেখছেন। এ এলাকায় বেশকিছু ক্লাবের কার্যালয় থাকলেও অবৈধভাবে ক্যাসিনো চলছে ছয়টিতে। এর মধ্যে দুটিতে অভিযান হওয়ার পর বাকি চারটি নিজেদের উদ্যোগেই তালা মেরে রাখা হয়েছে।

ক্যাসিনো বন্ধের অভিযানের পর বিভিন্ন ক্লাবে যে অন্যান্য জুয়ার আসর বসত তাও গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখেছে। যেখান থেকে ক্লাবগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমের অর্থের জোগান আসত। গত বুধবার বিকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পল্টন ও মতিঝিল এলাকার কয়েকটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ক্যাসিনোগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পাশাপাশি আটক করা হয় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে।

এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। রাজধানীতে একাধিক অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন সম্রাটের শিষ্য ও অনুগামী হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বুধবার রাতে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্ক ভর করে সম্রাটের মনে। একইভাবে আতঙ্কে রয়েছেন সম্রাটের আরেক শিষ্য ফকিরাপুলের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ।

ঢাকায় গড়ে উঠা এসব ক্যাসিনো থেকে মাসে চাঁদা উঠে ৩৬ কোটি টাকা। বছরে এই টাকার পরিমাণ ৪৩২ কোটি, যা অবিশ্বাস্য বটে। তবে বিশাল অঙ্কের এই টাকার ভাগ যায় সরকারি দলের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের পকেটে। প্রতি মাসে চাঁদা হিসেবে আদায় করা এই টাকাকে বলা হয় ‘প্রক্রিয়ার টাকা’। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এরই মধ্যে জুয়ার আস্তানাগুলোয় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার জুয়া জগতের অঘোষিত সম্রাট হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট।

গত সোমবার গভীর রাত থেকে ক্যাসিনোগুলোয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপরতা শুরু করে। গত সোমবার সম্রাটের কাকরাইলের আস্তানায় ডিবি ও র‌্যাব সদস্যরা তল্লাশি শুরু করলে ক্যাসিনো জগতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একে একে জুয়ার আস্তানাগুলো বন্ধ হতে শুরু করে। তার এক দিন পর সম্রাটের অন্যতম প্রধান সহযোগী আরেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেফতার হয়েছেন। ক্যাসিনো ব্যবসার প্রধান ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ক্ষমতাধর যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম ও আরমানও গা ঢাকা দিয়েছেন।

ক্যাসিনো খালেদ গ্রেফতার হওয়ার পর হাজার খানেক নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলে যুবলীগের কার্যালয়ে অবস্থান নেন মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট। গত বুধবার শেষ রাতেও রাজধানীর কাকরাইলে যুবলীগ কার্যালয়ে কয়েকশ’ নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান করেন তিনি। মূলত গ্রেফতার আতঙ্ক থেকে নেতাকর্মী বেষ্টিত থাকছেন সম্রাট। মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ার পর যুবলীগের কাকরাইল কার্যালয়ে উপস্থিত হন বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নেতাকর্মী। তাদের ধারণা, চলমান অভিযানে গ্রেফতার হতে পারেন সম্রাট। তিনি ঢাকার অন্তত একটি ক্যাসিনোর মালিক, সেইসঙ্গে একাধিক ক্যাসিনোর টাকা ভাগাভাগির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাকে যুবলীগ থেকে শোকজও করা হয়েছে।

গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদা দাবির অভিযোগে সমালোচনার মুখে থাকা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যুবলীগের কয়েক নেতা সম্পর্কেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা খালেদকে গ্রেফতার করল র‌্যাব। এই জুয়ার আড্ডাগুলো সম্পর্কে সম্প্রতি প্রমাণসহ গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাজধানীতে অর্ধশতাধিক ক্যাসিনো চালু ছিল। নিয়ন্ত্রণ করত যুবদল। এখন ক্যাসিনোগুলো যুবলীগের নিয়ন্ত্রণে। শুধু এই ৬০টি-ই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় রীতিমতো বাসা ভাড়া নিয়ে চলছে জুয়ার আসর। গভীর রাতে ক্লাবগুলোতে আসতে শুরু করে বিত্তবানদের গাড়ি। তাদের সঙ্গে থাকে ঢাকাই সিনেমার উঠতি নায়িকা থেকে শুরু করে নামিদামি মডেল। এসব মডেল-অভিনেত্রী জুয়ার আস্তানায় ‘এস্কর্ট গার্ল’ হিসেবে পরিচিত। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র। আর এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী। অথচ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোককে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে এসব কর্মকাণ্ড।

জানা গেছে, যুবলীগের তত্ত্বাবধানে ৬০টি বড় ক্যাসিনো চললেও সংগঠনটির থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতেও বসছে জুয়ার আসর। পাড়া-মহল্লার জুয়ার আসরগুলোতেও লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। আর যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণের এক শ্রেণির নেতাদের শেল্টারে ৬০ স্পটে চলছে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা জুয়ার খেলা। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার খেলা হচ্ছে। পাহারায় নিয়োজিত থাকে বিদেশ থেকে আনা নিজস্ব অস্ত্রধারী টিম। এদের আইনি ঝামেলা থেকে সুরক্ষা দেয় খোদ পুলিশ প্রশাসনেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের দিকে আরামবাগে আগমন ঘটে ওয়ান-টেন খেলার। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার সব ক্লাবে। এ নিয়ে জুয়াড়িদের মধ্যে এতটাই উত্তেজনা ছড়ায়, যার ফলে হত্যাকা-ের ঘটনাও ঘটে। ১৯৯৭ সালে দিলকুশা ক্লাবে জুয়াড়িদের হাতে খোকন নামের এক ব্যক্তি মারা যান। এর রেশ ধরে বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল জুয়ার আসর। এরপর আবার চালু হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাজধানীতে অর্ধ-শতাধিক ক্যাসিনো পরিচালনা করত যুবদল।

২০০১ সালে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া রাইফেলস ক্লাবে সায়েম ও মহসীন নামের দুই যুবককে ১২ টুকরা করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সব ক্লাবে জুয়ার আসর নিষিদ্ধ করা হয়। ক্লাবগুলোতে র‌্যাব-সেনাবাহিনীর অভিযান চলত তখন নিয়মিত। এখন যুবলীগের নেতৃত্বে ক্যাসিনো অনেক জমজমাট। তবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এসব ক্যাসিনো বন্ধে যা করার দরকার সংশ্লিষ্টদের তা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ক্যাসিনো,ঢাকায় ক্যাসিনো,যুবলীগ নেতা খালেদ,র‌্যাব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close