চুয়াডাঙ্গায় এক কিশোরী স্কুলছাত্রীকে গভীর রাতে ধর্ষণচেষ্টায় বাধা দেয়ার ঘটনায় ওই ছাত্রীর মামা হাসানুজ্জামান (২৬) ঘাতকের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ঘাতক আকবর আলীর মৃত্যু হয়।

এছাড়া এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ গুরুতর আহত হয়েছেন তার নানা হামিদুল ইসলাম (৫৫)। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণচেষ্টার সময় বাধা দেওয়ায় আকবর স্কুলছাত্রী ও তার মামা হাসানুজ্জামানকে (২৫) ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসানুজ্জামান মারা যান।

নিহত হাসানুজ্জামান আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

স্থানীয়রা আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় আকবর আলী নামে এক ব্যক্তি ঢোকে। এরপর স্কুলপড়ুয়া ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কিশোরীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গৃহকর্তার ছেলে হাসানুজ্জামান (২৬)। গুরুতর আহত হন ওই স্কুলছাত্রীসহ তার পঙ্গু নানা হামিদুল ইসলাম।

এদিকে গ্রামবাসী টের পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে হামলাকারী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, মো. কলিমুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা গুরুতর আহত গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম ও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সকাল ৮টার দিকে নিহত হাসান ও গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু এহসান মো. ওয়াহেদ রাজু জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের কারণে হামিদুল ইসলামের শরীরে অসংখ্যা ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়েছে। আহত স্কুলছাত্রীকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

পিডিএসও/তাজ