reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ এপ্রিল, ২০১৯

বন্দুকযুদ্ধে সর্বহারা পার্টির ২ সদস্য নিহত

বগুড়ার শেরপুরে শুক্রবার রাত ২টার দিকে দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

গত ৯ এপ্রিল পাবনায় বিভিন্ন চরমপন্থি দলের সমস্যদের আত্মসমর্পণের আগের রাতে শেরপুরের এই এলাকাতেই পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্যদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, শেরপুরের ভবানীপুর বাজারসংলগ্ন ব্রিজের ওপর সর্বহারা দলের দুই পক্ষ গোলাগুলি করছে এমন খবর পেয়ে রাত ১টা নাগাদ থানার পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা গুরুতর জখম অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটারগান, ৮ রাউন্ড গুলি, দুটি চাপাতি এবং পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির হাতে লেখা তিনটি পোস্টার জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, নিহত ২ ব্যক্তির নাম আফসার ও লিটন। তাদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানা না গেলেও তারা দুজন সর্বহারা পার্টির সদস্য বলে প্রাথমিক আলামতে ধারণা করছেন।

গত ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে শেরপুরের এই ভবানীপুর বাজারে আত্মসমর্পণবিরোধী পোস্টার সাঁটানোর পর টহল পুলিশের মুখে পড়ে সর্বহারা সদস্যরা। সর্বহারাদের একটি দল ইউনিয়ন পরিষদের ভবনসহ বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টার সাঁটায়। পোস্টারে বলা হয়, পাবনায় কয়েকটি বিপ্লবী পার্টির নামে রাষ্ট্রীয় চক্রান্তে ৬১৪ জন সদস্যের নাটকীয় আত্মসমর্পণকে প্রত্যাখান করুন। আদর্শহীন-পথভ্রষ্ট তথাকথিত আত্মসমর্পণকারীদের মুখোশ উন্মোচন করুন।

পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির উত্তরাঞ্চল শাখার নাম উল্লেখ করা পোস্টারটিতে গ্রামে গ্রামে গেরিলা স্কোয়াড গঠনেরও আহ্বান জানানো হয়। পরে টহল পুলিশের সঙ্গে সর্বহারা সদস্যদের গুলি বিনিময় হয়। গোলাগুলির সময় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক নান্নু মিয়ার পায়ে একটি গুলি বিদ্ধ হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সর্বহারা পার্টি,বন্দুকযুদ্ধ,বগুড়া
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close