রাজধানীর তুরাগে একজন ব্যবসায়ীকে স্থাপনা নির্মাণকালে চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সেলিম মোল্লা নামের উক্ত ব্যবসায়ী নিজ মালিকানাধীন জমিতে বাড়ির কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী দ্বারা মারাত্মকভাবে জখম হন। স্থানীয় সন্ত্রাসী হাজী মনির ও তার দলবল জমির মালিকের কাছে দীর্ঘদিন যাবত ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এবং টাকা দিতে অপারগ হলে জমিতে আসতেও বারণ করেন। অন্যথায় হত্যার হুমকিও প্রদান করেন।

এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন মালিক সেলিম মোল্লা। এ বিষয়ে জমির মালিক রাজধানীর তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পুলিশের নজরে ঘটনাটি আনার পরও তেমন কোনও প্রতিকার না পেয়ে ব্যবসায়ী সেলিম মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে উপস্থিত হয়ে ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-সি আর ১৯/ ২০১৯।

চাঁদাদাবি ও হত্যার হুমকির ঘটনার মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। এরা হলেন- ১ নং আসামি, লিখন (৩২) পিতা হাজী মো.মনির ২ নং আসামি, টগর (২৬) পিতা: হাজী মনির, ৩ নং আসামি, হাজী মোঃ মনির হোসেন (৫০) পিতা : মৃত দুদু মিয়া।

থানার জিডি ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, তুরাগের নলভোগ এলাকার বাসিন্দা সেলিম গত ২০ জানুয়ারি ২৯৩৯ ও ২৯৩৮ নং খতিয়ান ভুক্ত ৯৮৫ অজুতাংশ জমি সাফ কবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর ক্রেতার ভোগ দখলও প্রতিষ্ঠিত হয়। এমন অবস্থায় স্থানীয় মনির হাজী ও তার দুই ছেলে লিখন ও টগর বাদীকে জমিতে যেতে বারণ করে এবং ক্রয়কৃত জায়গায় বাড়ি-ঘর করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে গত দুই মাস থেকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেলিম মিয়া কোনও প্রকার টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরে আসামিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি সেলিম মোল্লাকে বেদম মারধর করে এবং পকেটে ও ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাদীকে অজ্ঞান অবস্থায় থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহসান উল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও মামলার আসামিরা বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

পিডিএসও/রি.মা