reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ মার্চ, ২০১৯

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চারজন মাদক কারবারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার বটতলীসংলগ্ন নাফ নদীর স্লইচ গেট ও সাবরাং মগপাড়া কাকঁড়া প্রজেক্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাদক কারবারীরা হলেন—টেকনাফ পৌর এলাকার চৌধুরী পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র নজির আহমদ (৩০), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার হাজী মোহাম্মদ জাকারিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিন (২৯) ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোনকার পাড়ার কালা মিয়ার পুত্র আবদুস শুক্কুর (৪৩)। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় পুলিশ-বিজিবির ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লক্ষাধিক ইয়াবা, চারটি অস্ত্র, তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বৃহস্পতিবার মাদক কারবারী নজির আহমদ ও গিয়াস উদ্দিনকে আটক করা হয়। রাত ৩টার দিকে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল বটতলীসংলগ্ন নাফ নদীর স্লইচ গেট এলাকায় অভিযান যায়। এ সময় মাদক কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে টেকনাফ থানার এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরশাদুল ও হেলাল উদ্দিন আহত হন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে নজির ও গিয়াস গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে ৬ হাজার ইয়াবা, তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় নজির ও গিয়াসকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে টেকনাফ-২ বিজিবি নায়েক সুবেদার মো. শাহ আলম জানান, বিজির একটি টহল দল সাবরাং মগপাড়া কাকঁড়া প্রজেক্ট এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় ইয়াবা পাচারকারীরা টহল দলের উপর গুলিবর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। এ সময় বিজিবির এক সদস্য আহত হন। বিজিবি আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করলে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা বড়ি ও একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুস শুক্কুর (৪৩) ও অজ্ঞাত একজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বন্দুকযুদ্ধ,টেকনাফ,মাদক কারবারী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close