reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯

অর্থ পাচার মামলা

ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান কাদের কারাগারে

বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ঢাকার চকবাজার থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের আনোয়ার হোসেন।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিক তদন্তে এম এ কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে কাদেরকে ভবিষ্যতে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আদালতের কাছে প্রার্থনা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামি কাদেরকে জেলহাজতে আটক রাখতে মর্জি হয়।

অন্যদিকে কাদেরের আইনজীবী আবদুল মোতালেব জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শুনানির সময় কাদেরকে আদালতের হাজতখানা থেকে আদালতে ওঠানো হয়নি।

এর আগে গত বুধবার ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের অভিযোগে চকবাজার থানায় মানি লন্ডারিং আইনে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও সরকারি ব্যাংকের দুই ডিএমডিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুল্ক গোয়েন্দা সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস লিমিটেড, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড যথাক্রমে ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ ও ১৫ কোটি ৮৪ লাখসহ মোট ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে।

অবৈধ কাজে জড়িত থাকায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) অনুযায়ী রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও এমডি লিটুল জাহান (মিরা) এবং অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও এমডি সুলতানা বেগম মনিসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলমান।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ক্রিসেন্ট গ্রুপ,কারাগারে,অর্থ পাচার মামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close