গাজীপুর প্রতিনিধি
খুনি গৃহশিক্ষক...
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু সাদমান ইকবাল রাকিন (১০) অপহরণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং সহযোগীসহ মূল আসামী পারভেজ শিকদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত পারভেজ শিকদার (১৮) শ্রীপুর উপজেলার ফাউগান গ্রামের আলীম শিকদারের ছেলে এবং তার সহযোগী ফয়সাল আহমেদ (১৯) একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে।
র্যাব জানায়, ফাউগান গ্রামের সৈয়দ শামীম ইকবালের ছেলে শিশু সাদমান ইকবাল রাকিন গত ৬ ডিসেম্বর অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা ভিকটিমের বাবার কাছে তার (ভিকটিমের বাবার) হারানো একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। এদিকে অপহরণের ৫ দিন পর ১১ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি বাঁশঝাড় থেকে রাকিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাব জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাকিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত পারভেজ শিকদার ও তার সহযোগী ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
র্যাব আরো জানায়, পারভেজ শিকদার এসএসসি পাশ করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শিমুলতলী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এগ্রিকালচার ডিপ্লোমায় ভর্তি হয়। গত ২ বছর ধরে রাকিনকে সে প্রাইভেট পড়াত। বড় অংকের টাকা পাওয়ার আশায় ৬ মাস আগে সে রাকিনকে অপহরণ ও মুক্তিপন চাওয়ার উদ্দেশ্যে রাকিনের বাবার মোবাইলটি চুরি করে বন্ধ রেখেছিল। এক পর্যায়ে সে তার ঘনিষ্ট বন্ধু ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করে। অপহরনের দিন তারা ভিকটিমকে কৌশলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায় এবং আটকে রাখার চেষ্টা করে। আটকাতে ব্যর্থ হলে এবং ভিকটিম ছাড়া পেলে তাদের কথা সবাইকে জানিয়ে দেবে এই ভয়ে তারা তখনই তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক পর্যায়ে তার দুইজন রাকিনের গলা টিপে হত্যা করে এবং ফয়সাল ভিকটিমের বাবাকে ফোন করে দশ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
পিডিএসও/অপূর্ব