পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধু, আটক ২
পাবনার সাঁথিয়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধু। উপজেলার আফড়া গ্রামে ভাদাল পাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
সাঁথিয়া থানায় ধর্ষিতার দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে ওসি তদন্ত আব্দুল মজিদ জানান,সাঁথিয়া উপজেলার আফড়া ভাদালে পাড়ার এক গৃহবধুর স্বামী ঢাকায় কাজ করার সুবাদে দুঃসর্ম্পের ভাসুর ভাদালে পাড়ার নুর বক্স মন্ডলের ছেলে সোনাইয়ের সাথে সোমবার সন্ধ্যায় তার বাপের বাড়ি আমিনপুর থানাধীন রুপপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
পথিমধ্যে তায়জাল বাজারে গিয়ে লম্পট ভাসুর ওকে নিয়ে সময় ক্ষেপন করে। এতে গৃহবধুর সন্দেহ হলে ভাসুর সোনাইকে বলে রাত হয়ে যাচ্ছে তারাতারী চলেন। পড়ে তাকে গাড়িতে করে পুন্ডরিয়া বাসষ্ট্যন্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ৯টার দিকে পুন্ডরিয়া মাদ্রাসার নিকট পৌছিলে গৃহবধুকে কু-প্রস্তাব দেয় লম্পট সোনাই। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী নির্জন পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়।
এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামী ওই একই গ্রামের আফতাবের ছেলে সুজন (২৮), আজিজ মোল্লার ছেলে ইদ্রিস (৫৫) জাফর প্রাং এর ছেলে আল হক (৩২),ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যায়। পরে সাথে থাকা সোনাই সহ ৪জন মিলে গৃহবধুকে হাত পা,বেধে পালাক্রমে রাত ভর ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৪টার সময় ভাদালে পাড়া তার শশুর বাড়ির নিকটে ফেলে রেখে চলে যায় লম্পটরা। পরে ধর্ষিতার শশুর বাড়ির লোকজন তাকে পানি ঢেলে সুস্থ করলে ঘটনার বিবরন দেয় ওই ধর্ষিতা। ঘটনাটি এলাকায় মিমাংসার জন্য দিনভর চেষ্টা করে । এতে ধর্ষিতা রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে ওই ৪জনকে আসামী করে ধর্ষিতা নিজেই বাদি হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ১৭ তারিখ-১৭-৭-১৮। পরে পুলিশ বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে সুজন ও আল হককে গ্রেফতার করে থানা নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ওসি তদন্ত আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ২জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের আটকের জোর প্রচেষ্টা চলছে। ধর্ষিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
পিডিএসও/রানা