না.গঞ্জ প্রতিনিধি
না.গঞ্জে হোসিয়ারী শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
আটক ২
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় শাকিল মিয়া (১৬) নামে এক হোসিয়ারী শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
রোববার দিবাগত মধ্য রাতের পর যে কোন সময় আলম মার্কেটের তৃতীয় তলায় হাসনেয়ারা হোসিয়ারীকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তবে কারা কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেন নি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হোসিয়ারী কারখানায় ব্যবহৃত কেচি ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোসিয়ারী মালিক সুমন ও নৈশপ্রহরী আমিন উদ্দিনকে আটক করেছে। নিহত শাকিল মিয়া বন্দর উপজেলার চর ইসলামপুর এলাকার জোহা মিয়ার ছেলে। সে ওই হোসিরারীতে দর্জি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো এবং হোসিয়ারীতেই থাকতো।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, রোববার রাতে শাকিল মিয়া বাইরে থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা দেখে হোসিয়ারীতে এসে ঘুমিয়ে পড়ে। সারোয়ার নামে হোসিয়ারির আরেকজন শ্রমিক তার সাথে থাকতো। রোববার ভোরে মার্কেটের নৈশ প্রহরী শাকিল মিয়ার সহকর্মী সারোয়ারকে হোসিয়ারী বন্ধ করে একা বাইরে চলে যেতে দেখেন। সকালে হোসিয়ারীর মালিক সুমন মিয়া ভেতরে প্রবেশ করে শাকিলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে নিহত শাকিলের পরিবারের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহাজারি করতে থাকেন। কেউ কেউ কান্নায় মাটিতে লুটিতে পড়ে মূর্চ্ছা যান। এ সময় স্থানীয় শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভীড় জমান। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহত শাকিলের স্বজনরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রাজজ্জাক জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাঁচি বা ছুরির সাত থেকে আটটি জখমের চিহ্ন রয়েছে। কারা কী কারণে শাকিলকে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পিডিএসও/তাজ