গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
৩৯ টাকা কেজির চাল ২২ টাকায় বিক্রি
ভিজিডি’র চাল দোকানে মজুদ করছে কালোবাজারীরা
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভিজিডি কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকালে পৌর শহরের মধ্য বাজার এলাকার ব্যবসায়ী জসিমের দোকানে ভিজিডির অর্ধশতাধিক চালের বস্তা মজুদ করা হয়। সরকার ভিজিডি’র প্রতি কেজি চাল ৩৯ টাকায় ক্রয় করে উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ করে। তবে কালোবাজারীরা ওই চাল উপকারভোগীদের থেকে ওই চাল প্রতি কেজি ২০ থেকে ২২ টাকায় ক্রয় করে নেয় এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। সোমবার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে কম দামে চাল বিক্রির অভিযোগের সত্যতা মিলে।
এদিকে সোমবার বিকালে ভিজিডির চালের বস্তা বোঝাই করে দুটি রিকশা মধ্যবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জসিমের দোকানে এসে থামে। পরে রিকশা থেকে বস্তা নামিয়ে জসিমের দোকানে চালের বস্তা মজুদ করেন আরেক ব্যবসায়ী সবুজ। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ছবি তুললে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে জসিমের দোকানের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ভিজিডি’র প্রায় অর্ধশতাধিক চালে বস্তা দোকানে মজুদ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, এই চালের বস্তাগুলো গুলো ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে এসেছে। আজ সেখানে চাল বিতরণের সময় ভিজিডির কার্ডধারী মহিলাদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২২টাতা দরে প্রতি কেজি চাল ক্রয় করেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশির ভাগ উপকারভোগী অগ্রিম টাকা নিয়ে নিজেদের বরাদ্দের ভিজিডির চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে যখন
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই চাল বিতরণ করা হয় তখন ব্যবসায়ীরা উপকারভোগীদের কাছ থেকে চাল নিয়ে নিজেদের দোকানে মজুদ করে বিক্রি করে।
উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ইসরাত আহমেদ বলেন, ভিজিডি’র জন্য বরাদ্দকৃত প্রতি কেজি চাল ৩৯ টাকায় গত আমন মওসুমে কেনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্য লোক পাঠিয়েছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিডিএসও/রানা