লালমনিরহাট প্রতিনিধি
হাতীবান্ধায় এক অসহায় দম্পত্তিকে মারধরের অভিযোগ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় এক অসহায় দম্পত্তিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দম্পতিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দম্পতি হলেন, হাবিবুর রহমান (৪০) ও তার স্ত্রী রানি বেগম (৩৫)। ওই দম্পতি হাতীবান্ধা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গত সোমবার উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায় , তিন বছর পুর্বে উপজেলার বড়খাতা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন তার নিজ ৩০ শতক জমি ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে নিজ ভাতিজা হাবিবুর রহমানের কাছে ৬০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। তোফাজ্জল হোসেন ও তার ছেলে দলবল নিয়ে এসে বন্ধক ৬০ হাজার টাকা ফিরত না দিয়ে ওই জমিতে হালচাষ করলে হাবিবুর রহমান তাতে বাধা দেন। এঘটনার জের ধরে তোফাজ্জল হোসেনের লোকজন তাকে মারধর শুরু করে। স্বামীকে বাঁচাতে তার স্ত্রী রানি বেগম এগিয়ে এলে তাকেও বেধরক মারধর করেন। এই সুযোগে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন রিপন তাদের বসতি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে সংবাদ পেয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। স্থানীয়রা ওই দম্পতিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, আমি অসহায় মানুষ তোফাজ্জল হোসেন আমার চাচা। তিনি আমার ৬০ হাজার টাকা ফেরত না দিয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে জমিতে হালচাষ শুরু করলে আমি তাকে বাঁধা দিলে তিনি আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করেন। এর আগে তিনি আমার নামে আদালতে চারটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন রিপন বলেন, আমি আগুন দেইনি ওরা নিজেরাই ঘরে আগুন দিয়েছে। আমরা তাদের মারধরও করিনি।
হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আব্দুল গণি বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিডিএসও/রানা