পিরোজপুরে পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলায় অহিদুজ্জামান অহিদ ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় মিজানুর রহমান নিহত হন। এ ঘটনায় ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। নিহত অহিদুজ্জামান নেছারাবাদ উপজেলার দক্ষিণ কৌড়িখারা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান খানের ছেলে এবং মিজানুর রহমান সরদার মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের লাল মিয়া সরদারের ছেলে।। অহিদের বিরুদ্ধে থানায় ৮ টি মাদক এবং মিজানের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার দুপুরে অহিদকে পিরোজপুরের কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এরপরে রাতে তাকে নিয়ে মাদক উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কলাখালী ইউনিয়নের কৈবর্তখালী গ্রামে অভিযানে যায়। সেখানে রাত আনুমানিক পৌনে ১ টার দিকে অহিদকে তার সহযোগীরা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত এবং অহিদ নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১ টি পাইপগান, ২ টি ধারালো অস্ত্র , ৫ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ ও ১৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে মাদক উদ্ধারের জন্য বড় মাছুয়া গ্রামে গেলে মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত সর্দার মিজানের লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মিজান। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম সরোয়ার। পুলিশ ঘটনস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৬০ পিছ ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে জানান তিনি।

পিডিএসও/রানা