কবর দেয়ার আগে নড়ে উঠল মৃত শিশু!
এবার কবর দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে যখন গোসল করানোর হচ্ছিল তখনই হঠাৎ নড়ে উঠল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষিত একটি নবজাতক। আজ সোমবার রাজধানীতে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, হাসপাতালে জন্মের পরই শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পর শোকে বিহ্বল স্বজনেরা দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান দাফন করার জন্য। আর দাফনের আগে গোসল করানোর সময় হঠাৎ নড়ে ওঠে নবজাতকটি। এর পর দ্রুত তাকে আবার নেওয়া হয় অন্য হাসপাতালে। বতর্মানে সে রাজধানীর শিশু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন শারমিন আক্তার (২০)। জন্মের পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে শিশুটির মামা শরিফ তাকে দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে গোসল করানোর সময় হঠাৎ নড়ে ওঠে শিশুটি। এরপর দ্রুত তাকে আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের চিকিৎসকেরা শিশুটিকে আগারগাঁও শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, খবরটি শুনেছি। বিভাগীয় প্রধানকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার ধামরাইয়ের শ্রীরামপুরে শারমিনকে ঢামেকের ১০৫ নং ওয়ার্ডের ৪ নং বেডে ভর্তি করা হয়। শারমিনের ভাই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আজ সকাল ৮টায় তার বোনের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু ঢামেকের চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি মৃত। তখন তার মরদেহ দাফনের জন্য আজিমপুর গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। আজিমপুর গোরস্থানের মহরার হাফিজুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে দাফনের আগে গোসলের জন্য নেন ড্রেসার জেসমিন। গায়ে পানি ঢালা হলে সে নড়েচড়ে ওঠে এবং শ্বাস নিতে থাকে। তখন স্বজনরা নবজাতকটিকে আজিমপুর ম্যাটার্নিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশু হাসপাতালে। এ হাসপাতালের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাসপাতালের ডাক্তাররা শিশুটিকে দেখেছেন। তাকে বেডে নেওয়া হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, বাচ্চাটিকে কার্ডিয়াক আইসিউতে (হৃদরোগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চাটি নিজে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে এভাবে রাখা হবে। শিশুটির আগের থেকে এখন ভালো আছে, তবে এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।পিডিএসও/মুস্তাফিজ