লালমনিরহাট প্রতিনিধি
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার : পরিবারের দাবি হত্যা
লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নে ২ সন্তানের জননী শাহিদা বেগম ওরফে কাজলী (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ঝাকুয়াটারী এলাকা থেকে দাফন সম্পন্নের শেষ মুহুর্তে শাহিদা বেগম ওরফে কাজলীর লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ তার। শাহিদা বেগম ওরফে কাজলী ওই ইউনিয়নের মানিক মিয়ার স্ত্রী ও কুলাঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম খাটামারী এলাকার কাশেম আলীর মেয়ে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নিহতের পরিবার ও চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হারাটি ইউনিয়নের ঝাকুয়াটারী গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়িতে যায়। ততক্ষনে কাজলীর দাফনের সব কাজ সম্পন্ন, কবর স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ সেখানে পৌছুলে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর ময়না তদন্তের জন্য শাহিদা ওরফে কাজলী লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।
নিহত কাজলীর বাবা কাশেম আলী সাংবাদিকদের জানায়, চার বছর আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে হারাটি ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়ার সাথে তার মেয়ে কাজলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বণিবনা হচ্ছিল না। এর মধ্যে তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম নেয়।
সোমবার রাতে জামাই মানিক মিয়া মোবাইল ফোনে তাদেরকে কাজলীর অসুস্থতার কথা জানায়। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তারা মেয়ের বাড়ীতে গেলে ওঠানে চৌকির ওপর মেয়ে কাজলীর লাশ দেখতে পায়। এসময় তারা তাদের মেয়ের মৃত্যুর কারন জানতে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন জানায়। পরিবারের লোক, স্থানীয় লোকজন ও চেয়ারম্যান থানা পুলিশকে খবর দিলে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিহতের স্বামী ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী শ^শুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার মেয়ে কাজলীকে হত্যা করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ আলম জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিডিএসও/রানা